জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফরিদ আহমদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জাবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও পুলিশি হামলার মদদ দেয়ার অভিযোগে করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী অধ্যাপক ফরিদ আহমদকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানা–পুলিশে সোপর্দ করেন। পরে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে নেয়া হয়। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষক।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর করা মামলায় অধ্যাপক ফরিদকে গ্রেপ্তার করে আজ বেলা ১১টার দিকে আদালতে নেয়া হয়।
গত ১৫ জুলাই জাবির শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ-বহিরাগত সন্ত্রাসী ও পুলিশ হামলা করে। এ ঘটনায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদুল ইসলাম আশুলিয়া থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুজন উপাচার্য, প্রক্টরসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতসহ মোট ২১৪ জনকে আসামি করা হয়। অধ্যাপক ফরিদকে ৮ নম্বর আসামি করা হয়।
প্রসঙ্গত, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৫ জুলাই ছাত্রলীগের হামলা ও ১৭ জুলাই পুলিশি হামলার মদদ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
গত ১৭ জুলাই বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কথোপকথন ফাঁস হলে দেখা যায়, তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন ‘আরেকটু অপেক্ষা করুন রাজাকারদের পরাজয় আসন্ন।’ যদিও শেখ হাসিনার পতনের পর গত ১৮ আগস্ট ফরিদ উদ্দিনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ তার বিভাগের শিক্ষার্থীরা।