বাংলাদেশে বজ্রপাতে প্রাণহানির সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। সাধারণত এপ্রিল থেকে মে মাসে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ বজ্রপাত হয়। বজ্রপাতে মৃত্যু বা হতাহত হওয়ার ঘটনা এড়াতে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন-
বজ্রপাতের আশঙ্কা দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিতে হবে। ভবনের ছাদে বা উঁচু ভূমিতে যাওয়া উচিত হবে না।
বজ্রপাতের সময় ধানক্ষেত বা খোলামাঠে থাকলে পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে এবং কানে আঙুল দিয়ে নীচু হয়ে বসে পড়তে হবে।
বজ্রপাতের সময় ঘরের বাইরের যে কোনো ধরনের খেলাধুলা থেকে শিশুকে বিরত রাখতে হবে। ঘরের ভেতরে অবস্থান করতে হবে।
যদি কেউ গাড়ির ভেতর অবস্থান করেন, তাহলে গাড়ির ধাতব অংশের সঙ্গে শরীরের সংযোগ রাখবেন না।
খালি জায়গায় যদি উঁচু গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি, ধাতব পদার্থ বা মোবাইল টাওয়ার থাকে, তার কাছাকাছি থাকা যাবে না।
বজ্রপাতের সময় গাছের নিচে থাকা বিপজ্জনক।
বজ্রপাতের সময় ছাউনিবিহীন নৌকায় মাছ না ধরতে যাবেন না।
সমুদ্রে বা নদীতে থাকলে মাছ ধরা বন্ধ রেখে দ্রুত নৌকার ছাউনির নিচে আশ্রয় নেবেন।
মনে রাখতে হবে, বজ্রঝড় সাধারণত ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট স্থায়ী হয়। এ সময়টুকু ঘরে অবস্থান করা। অতি জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যেতে হলে রাবারের জুতা পড়তে হবে। তা বজ্রঝড় বা বজ্রপাত থেকে সুরক্ষা দেয়।