নিজের মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবা সাইফুল ইসলামের (৪৯) আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ধর্ষক সাইফুল ইসলাম পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের সিপাইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এলাকার মৃত আখিম উদ্দীনের ছেলে।
২০২৩ সালের ১৮ নভেম্বর ভুক্তভোগী মেয়ের মা বাদী হয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা করলে তদন্তে নামেন সদর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক শামছুজ্জোহা সরকার। তদন্ত শেষে গত ২৮ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে আদালতের মাধ্যমে সাজার দণ্ডাদেশ দেন আদালত।
জানা যায়, মেয়ে ধর্ষণের মামলার বাদী হয়েছিলেন দণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী। সংসারে ৫ সন্তান থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয় বিয়ে করেন সাইফুল। এ ঘটনায় গত বছরের আগস্ট মাসে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। বিচ্ছেদের পর মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতে শুরু করেন।
গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর চাচতো ভাইয়ের বিয়েতে বাবার বাড়িতে যায় ভুক্তভোগী মেয়ে। সেখানে বাবার ঘরেই আলাদা বিছানায় রাতযাপন করে সে।
বিয়ের অনুষ্ঠানের তিনদিন পর ২৪ সেপ্টেম্বর মেয়েটির সৎ মা কোথাও বেড়াতে গেলে সেই সুযোগে বাবা সাইফুল ইসলাম তার ঘুমন্ত মেয়েকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আরও একাধিকবার মেয়েকে ধর্ষণ করেন তিনি। এতে ভুক্তভোগী মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।