মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ ৯ বৈশাখ ১৪৩২
মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫
‘মস্তিষ্ক খেকো’ সংক্রমণে আরও এক মৃত্যু, ৪৪ দিনে মৃত ৩
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪, ৩:৫৮ PM আপডেট: ০৫.০৭.২০২৪ ৫:২১ PM
ওই বেসরকারি হাসপাতালে অ্যামিবিক মেনিন গোয়েনসেফালাইটিসের চিকিৎসা চলছিল কিশোরের। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কিশোরটি কয়েকদিন আগেই এলাকার একটি ছোট পুকুরে স্নান করতে নেমেছিল। তার কয়েকদিন পরেই সে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। এমন অবস্থায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর।

রাক্ষস বা হিংস্র যন্ত্রণায় মস্তিষ্ক খেয়ে ফেলল অতি ক্ষুদ্র অণুজীব জীব অ্যামিবা। যার বৈজ্ঞানিক নাম হল- অ্যামিবিক মেনিন গোয়েনসেফালাইটিস। এরফলে ফলে কারণে মৃত্যু হল ১৪ বছরের আরও এক কিশোরের। এই নিয়ে মে থেকে জুলাই মাসের মধ্যে রাজ্যে তিনটি এই ধরনের ঘটনা ঘটল। 
অতি ক্ষুদ্র অণুজীব জীব অ্যামিবা

অতি ক্ষুদ্র অণুজীব জীব অ্যামিবা

জানা যায়, ওই কিশোর বেশ কয়েকদিন ধরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। বুধবার রাত ১১:৩০ টা নাগাদ তার মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে একথা ঘোষণা করা হয়েছে। 

গোয়েনসেফালাইটিসের চিকিৎসা চলছিল কিশোরের। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কিশোরটি কয়েকদিন আগেই এলাকার একটি ছোট পুকুরে  গোসল করতে নেমেছিল। তার কয়েকদিন পরেই সে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। 

এমন অবস্থায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। আগেই এনিয়ে অবশ্য সতর্কতা জারি করেছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সহযোগিতায় এই সংক্রমণ থেকে কীভাবে পরিত্রাণ পাওয়া যায় তা নিয়ে গবেষণা শুরু করে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগেও একইভাবে এই জাতীয় অ্যামিবার সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে বিভিন্ন এলাকায়। প্রথম ঘটনাটি ঘটেছিল গত ২১ মে ভারতের মালাপ্পুরামে। সেখানে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ৫ বছর বয়সি এক শিশুর। তারপরে কান্নুর জেলায় গত ২৫ জুন ১৩ বছর বয়সি এক কিশোরীর মৃত্যু হয়। আর এবার আরও একজনের মৃত্যু হল।
অতি ক্ষুদ্র অণুজীব জীব অ্যামিবা

অতি ক্ষুদ্র অণুজীব জীব অ্যামিবা


কীভাবে ছড়ায় এই সংক্রমণ?
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত স্থির পানিতে বিশেষ করে পুকুর, হ্রদ, ডোবা এমনকী সুইমিং পুলের পানিতেও এই ধরনের পরজীবীরা বাস করে। নাক দিয়ে শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে মস্তিষ্কে সংক্রমণ ঘটায়। আর এই সংক্রমণে মৃত্যুর হার খুবই বেশি। উপসর্গ দেখা দেওয়ার ৫ দিনের মধ্যেই সাধারণত মৃত্যু হয় রোগীর। 

প্রাথমিক পর্যায়ে মাথা যন্ত্রণা, জ্বর ও বমি শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত কোমা ও তার পর মৃত্যু। অণুজীবটি দেহে প্রবেশ করার ১ থেকে ১২ দিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয়। এর আগে ২০২৩ এবং ২০১৭ সালে কেরলের উপকূলীয় জেলা আলাপুজায় এই ধরনের সংক্রমণ ছড়িয়েছিল।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। ২৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা অ্যামিবার বংশ বিস্তারের জন্য আদর্শ। পুল এবং স্পা মালিকদের নিয়মিত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পানিতে ক্লোরিন দেওয়া উচিত। নাহলে পানি নিয়মিত পরিবর্তন করা উচিত যাতে অ্যামিবা বাড়তে না পারে।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


Also News   Subject:  অ্যামিবা   সংক্রমণ  







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত