বৃষ্টিতে চুল ভিজে কিংবা ঘেমে চিটচিটে হয়ে যাওয়ার ফলে চুল দ্রুত অপরিষ্কার ও আঠালো হয়ে পড়ে। তখন সহজেই মাথার ত্বকে খুশকির মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
খুশকিমুক্ত বর্ষা চাইলে অনুসরণ করতে পারেন কিছু টিপস-
অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার: খুশকি দূর করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ শ্যাম্পুর ব্যবহার। যদি একটি শ্যাম্পুতে কাজ না হয়, তাহলে ব্র্যান্ড বদলে দেখতে পারেন। কেনার সময় শ্যাম্পুতে জিংক পাইরিথিওন, স্যালিসাইলিক অ্যাসিড, সালফার, সেলেনিয়াম সালফাইড, কিটোকোনাজল প্রভৃতির মধ্যে অন্তত একটি উপাদান যেন থাকে, তা নিশ্চিত করবেন।
সঠিক ব্যবহার: শ্যাম্পুর বোতলের গায়ে লেখা নির্দেশাবলি অনুসরণ করুন। কিছু শ্যাম্পু মাথার ত্বকে লাগিয়ে ফেনা তৈরি করলেই চলে। আবার কিছু শ্যাম্পু ৫-১০ মিনিট মাথার ত্বকে রাখতে হতে পারে। আপনার বেছে নেওয়া শ্যাম্পু এবং চুলের ধরনের ওপর নির্ভর করে এই নির্দেশাবলি ভিন্ন হবে। শ্যাম্পু দেওয়ার পর আঙুলের সাহায্যে ধীরে ধীরে মাথায় ম্যাসাজ করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে, এবং চুলের গোড়ায় আটকে থাকা খুশকিও আলগা হবে। শেষে প্রচুর পানি দিয়ে চুল পরিষ্কার করুন যেন একটুও শ্যাম্পু লেগে না থাকে।
চুলের ধরন বুঝে শ্যাম্পু: চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু নির্বাচন করুন। চুল স্বাভাবিকভাবে সোজা বা তৈলাক্ত হলে নিয়মিত চুল পরিষ্কার করুন। সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রতিদিনই শ্যাম্পু করতে হবে এবং সপ্তাহে অন্তত দুইবার অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। অন্যদিকে, আপনার চুল যদি কোঁকড়ানো বা রুক্ষ হয়ে থাকে, তাহলে প্রতিদিন না ধুলেও চলবে। প্রয়োজন হলে তবেই শ্যাম্পু ব্যবহার করুন এবং সপ্তাহে কেবল একবার অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু দিলেই হবে। কারণ, এ শ্যাম্পুতে থাকা উপাদানগুলো আপনার চুলকে আরও বেশি রুক্ষ-শুষ্ক করে তুলতে পারে।
প্রাকৃতিক সমাধান: শ্যাম্পুতে কাজ না হলে ঘরে থাকা বিভিন্ন উপকরণের মাধ্যমে খুশকি দূর করতে পারেন। নারকেল তেলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে মাথার ত্বকে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া নারকেল তেলের সঙ্গে ৮-১০ ফোঁটা ট্রি অয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করতে পারেন। শ্যাম্পু করার আগে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে নিয়মিত অ্যালোভেরা জেল লাগালেও খুশকির প্রকোপ ধীরে ধীরে কমে আসবেে।