<
সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১ আশ্বিন ১৪৩১
সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নক্ষত্রেরও একদিন খসে পড়তে হয়...
মশিউর অর্ণব
প্রকাশ: রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০২৪, ৮:০৫ PM আপডেট: ১৪.০৭.২০২৪ ৮:১৩ PM
১৭ বছরের ক্যারিয়ারে কত স্মৃতিই না জমা হয়েছে, বিদায়বেলায় সেই সব স্মৃতি এসে নিশ্চয়ই ভিড় করছে ডি মারিয়ার মনে। আন্তর্জাতিক ফুটবলে কী পেলেন আর কী পেলেন না, সেই হিসাবও মেলাচ্ছেন। বিদায়ী ম্যাচের আগে সতীর্থ লিওনেল মেসির সঙ্গে একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে দিয়ে ডি মারিয়া নিজেই জানিয়েছেন তাঁর চাওয়া আর পাওয়ার হিসাব।

কোপা আমেরিকার পর লা ফিনালিসিমা জয়, তবু যেন অপূর্ণ ছিল মেসি-ডি মারিয়াদের ক্যারিয়ার! সেই পূর্ণতা আসে কাতার বিশ্বকাপ জিতে। এ কারণেই হয়তো বিদায়ের আগে চাওয়া-পাওয়ার হিসাব মেলাতে গিয়ে তৃপ্ত ডি মারিয়া লিখেছেন, ‘আমি যা চাইতে পারতাম, জীবন আমাকে তার চেয়ে অনেক বেশি দিয়েছে।’
বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ফুটবলের খোঁজ-খবর রাখেন। ক্রিকেটার হলেও ফুটবলকে তিনি ভালবাসেন। আর দল হিসেবে আর্জেন্টিনাকে অনেক ভালবাসেন তিনি। তিনিও তো একজন খেলোয়াড়। তাই একজন খেলোয়াড়ের বিদায়ের মুহূর্তটা যে কতটা বেদনার, তা তো তিনি নিশ্চয়ই বোঝেন। তাইতো আনহেল ডি মারিয়াকে নিয়ে দিলেন আবেগঘন বার্তা। 
 
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাশরাফি লিখেন, 'আনহেল ডি মারিয়া তার শেষ ম্যাচ খেলতে নামছে, স্বাভাবিকভাবে আর্জেন্টিনা দল চাইবে ট্রফি জিতে তাকে দারুণ একটা বিদায় দিতে। আনহেল কি করেছে আর্জেন্টিনার জন্য, তা চিন্তা করলে মনে হয় শুধু মেসির কারণে সে সবসময় চোখের আড়ালে থেকে গেছে। বেশি দূরে যেতে হবেনা, ২০১৪ বিশ্বকাপে তার ইনজুরির দিকে তাকালেই বোঝা যায়। এমন কি মেসিও ফাইনালে কিছুই করতে পারেনি, কারণ ডি মারিয়া মাঠে না থাকলে ডিফেন্ডারদের মেসিকে মার্ক করা কিছুটা সহজ হয়ে যায়। সেদিন ফাইনালে লাভেজ্জি তাও বেশ ভালো খেলছিলো, যে কারণে বেশ কিছু সুযোগ আর্জেন্টিনা তৈরিও করেছিলো, এমনকি লাভেজ্জির একটা ক্রস থেকে হিগুয়েন গোল করলেও তা অফসাইড হয়।'
সেদিন ডি মারিয়া মাঠে থাকলে ব্যাপারটা ভিন্ন হতে পারতো। এ বিষয়ে মাশরাফি আরও লিখেন,  'হাফটাইমের পর কোচ আলেহান্দ্রো সাবেয়া লাভেজ্জিকে উঠিয়ে আগুয়েরোকে মাঠে নামালো স্রেফ বড় নামের কারণে। ব্যস আর্জেন্টিনার আক্রমণ শেষ হয়ে গেল। অথচো ডি মারিয়া থাকলে বিষয়টা পুরো ভিন্ন হতে পারতো। কোপার ফাইনালে ব্রাজিলকে গোল করা বা বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্সকে গোল করা এগুলো বলাই যায়। তবে ডি মারিয়া ছাড়া মেসি বা আর্জেন্টিনা কতোটা দূর্বল তা বোঝার জন্য শেষ বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখলেই বোঝা যায়।'
 
২০২২ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা শিরোপা জিতেছে। সেই ফাইনালেও ডি মারিয়া গোল করেছিলেন। মাশরাফি লিখেছেন, '৭০ মিনিটের পর ডি মারিয়াকে উঠিয়ে নিলো স্কলানি, ব্যাস ফ্রান্স একের পর এক আক্রমণ শুরু করলো এবং দুই গোলই শোধ করে ফেললো। অথচ ডি মারিয়া মাঠে থাকতে ফ্রান্সকে মেসি এবং ডি মারিয়া দুজনকেই মার্কে রাখতে হচ্ছিলো, যার কারণে তারা অলআউট চাইলেও খেলতে পারছিলোনা। এমনকি আর্জেন্টিনা এই বিশ্বকাপে নক আউটে অলমোস্ট সব ম্যাচেই গোল খেয়েছে ডি মারিয়া মাঠ ছাড়ার পর। এমনকি ২০১৮ বিশ্বকাপে এই ফ্রান্সের কাছেই ৪-৩ গোলে হেরেছিলো, কিন্তু প্রথম গোল পেনাল্টিতে গ্রিসম্যান যখন দেয় ঠিক তার কিছুক্ষণ পর ডি মারিয়া ডি বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক রেইনবো কিকে সমতায় ফিরেয়েছিলো আর্জেন্টিনাকে।

আর্জেন্টিনার হয়ে এখন পর্যন্ত ১৪৪ ম্যাচ খেলেছেন দি মারিয়া। গোল করেছেন ৩১। এর মধ্যে হয়তো তাঁর কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে তিনটি গোল ২০২১ সালে কোপা আমেরিকার ফাইনালে তার একমাত্র গোলে শিরোপা জিতেছিল আর্জেন্টিনা, এরপর ২০২২ সালে লা ফিনালিসিমা আর ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালের গোল।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







সোস্যাল নেটওয়ার্ক

  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক আউয়াল সেন্টার (লেভেল ১২), ৩৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত