পেয়ারাকে ভিটামিন সি-এর ব্যাংক বলা যায়। সাধারণত বর্ষা ও শীত ঋতুতে গাছে পেয়ারা হয়। পেয়ারা খেতে খুবই সুস্বাদু ও সুমিষ্ট। সব জাতের পেয়ারার গুণাগুণ শীতকালে বেড়ে যায়, রোগ ও পোকার আক্রমণও কম থাকে।
ফলের আকৃতি এবং রং সবদিক থেকেই সুন্দর হওয়ায় এ সময়ে পেয়ারার দামও থাকে বেশি। এসব দিক বিবেচনায় রেখেই বর্ষাকাল বাদে কীভাবে অন্যান্য ঋতুতে অত্যধিক হারে উৎপাদন বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে গবেষণা শুরু হয়।
পেয়ারার উপকারিতা:
পেয়ারা নিয়মিত খেলে ক্যানসার এবং মেয়েদের ব্রেস্ট ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।
পেয়ারা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে তাই নিয়মিত পেয়ারা খেলে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।
পেয়ারা নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
অনেকেরই মুখের ভেতর সাদা দাগের মতো একটি আলসার দেখা যায়। এমন হলে পেয়ারা খেলে উপকার পাওয়া যায়।
পেয়ারা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সাথে লড়াই করে। তাই পেয়ারা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
পেয়ারার পাতা চিবিয়ে বা রস করে খেলে মাসিককালিন ব্যথা কমে যায়।
কাঁচা পেয়ারা খেলে ঠান্ডাজনিত সমস্যা দূর হয়।
নিয়মিত কাঁচা পেয়ারা খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে।
পেয়ারা শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। রক্ত সঞ্চালনের প্রবাহ সঠিক রেখে কোলেস্টেরলের মাত্রাও কম রাখে, যা হৃদপিন্ডের জন্য উপকারী। এ ছাড়া পেয়ারা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আদর্শ ফল হিসেবে বিবেচনা করা যায়। এতে রয়েছে উচ্চ মাত্রার ফাইবার