রাতেই ফিরতে পারে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। গুরুত্ব বিবেচনায় রাজধানীতে বাসাবাড়ির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ধারাবাহিকভাবে চালু হচ্ছে। এরই মধ্যে গুলশান, বনানী, বারিধারা, সেনানিবাসসহ কিছু এলাকায় সুবিধা মিলছে।
মঙ্গলবার রাতে পরীক্ষামূলকভাবে বাণিজ্যিক, কূটনৈতিক, গণমাধ্যমসহ নির্দিষ্ট কিছু স্থানে চালু হয় ইন্টারনেট। তবে এখনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের সুবিধা মিলছে না। এছাড়া মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানিয়েছে বিটিআরসি।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশজুড়ে সহিংসতার মধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ৫ দিন পর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার পর থেকে আবার চালু হয়। প্রাথমিকভাবে ইন্টারনেটের গতি বেশ ধীরগতির হলেও ব্রডব্যান্ড সংযোগ ফিরে আসায় ফ্রিল্যান্সার, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও সাধারণ ব্যবহারকারীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।
এছাড়া দেশজুড়ে চলমান টানা কারফিউতে ধুঁকতে থাকা তৈরি পোশাক শিল্পসহ রপ্তানিমুখী খাতগুলোতেও ইন্টারনেট ফিরে আসার ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ইন্টারনেট না থাকায় রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের বিদেশি গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ রক্ষায় সমস্যায় পড়ে। ব্রডব্যান্ড সংযোগ ফেরায় তাই অনেকটাই স্বস্তিতে এই প্রতিষ্ঠানগুলো।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশজুড়ে সহিংসতার মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পর থেকে দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়। সেদিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর মহাখালীর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনে দুর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগে পুড়ে যায় ৩টি ডেটাসেন্টার, যেগুলোর ওপর নির্ভর করে দেশের ৬০ শতাংশ ব্যান্ডউইথ।
এভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে রাত থেকেই সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ইন্টারনেট না থাকায় বিপাকে পড়েছিলেন দেশের ১৪ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।