গণমিছিলে হামলা ও ছাত্রহত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পাস থেকে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভ থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ছাত্রহত্যার দায় নিয়ে সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পাসের ডায়না চত্বর থেকে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী মিছিল শুরু করেন। একইসময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবন থেকে নিপীড়ন ও বৈষম্যবিরোধী সচেতন শিক্ষক সমাজ ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক শিক্ষক। পরে দুই মিছিল প্রধান ফটকের পাশে গিয়ে মিলিত হয়। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে ফটক পেরিয়ে মহাসড়কে গিয়ে অবস্থান নেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সড়কের পাশে শিক্ষকরা সংসহতি সমাবেশ শুরু করলে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক দিয়ে ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী শেখপাড়া বাজার প্রদক্ষিণ করে আবারো প্রধান ফটকসংলগ্ন কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেয়। শিক্ষকরাও সংহতি সবাবেশ শেষ করে ছাত্রদের সঙ্গে যোগ দেন। পরে সেখানে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিয়ে ক্যাম্পাসে চলে গেলেও শিক্ষার্থীরা দেড় ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন।
এসময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সরকারের ছাত্র হত্যার বিচার, গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগ দাবি করে স্লোগান দেন ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। এসময় প্রধান ফটকে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ ও আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা মোতায়েন থাকলেও বিক্ষোভকারীদের বাধা দিতে দেখা যায়নি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয়ক এস এম সুইট তার বক্তব্যে বলেন, ‘কোটা সংস্কারের আন্দোলনে হামলার ঘটনায় আমরা নয় দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করছিলাম। সরকার আবারো আমাদের বিক্ষোভে গুলি চালিয়েছে। এখন আমাদের আর পেছনে ফেরার সুযোগ নেই। এখন ছাত্র-জনতার একটাই দাবি ছাত্রহত্যাকারী স্বৈরাচারী এ সরকারের পদত্যাগ। আগামীকাল থেকে অসহযোগ আন্দোলন চলবে।’