পাঁচ দশকের বিজ্ঞাপনচিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে এবারই প্রথম ঘটলো এমন ঘটনা! বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাতারা ডেকেছেন অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট! তাতে সায় দিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রায় সবগুলো সংগঠন।
বিজ্ঞাপন নির্মাণ সংশ্লিষ্টরা বলছেন। নাটক-সিনেমার পাশাপাশি নির্মাণশিল্পের বড় একটি অংশ জুড়ে আছে বিজ্ঞাপনচিত্র। নির্মাণের সিংহভাগ বাজেট থাকে এই খাতে। সেই খাতের এমন সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে ভাবনার বিষয় বটে। কেননা এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে দেশের ব্যবসায়িক প্রচারণার সবচেয়ে বড় বিষয়টুকু।
বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাতাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাডফিল্ম অ্যান্ড কনটেন্ট প্রডিউসার্স (বিএএসিপি) এই ধর্মঘট ঘোষণা করেছে। আজ (১ সেপ্টেম্বর) থেকে তিনটি দাবি নিয়ে এই কর্মসূচি পালন করছেন সংগঠনের সদস্যরা। জানানো হয়েছে, তাদের চারটি দাবি না মানা পর্যন্ত এই ধর্মঘট কিংবা কর্মবিরতি চলবে।
দাবিগুলো হলো-পূর্বের বকেয়া নিষ্পত্তি, সময়মতো কাজের আদেশ (ওয়ার্ক অর্ডার) দেওয়া, ৭৫ শতাংশ অগ্রিম অর্থ প্রদান এবং অবশিষ্ট ২৫ শতাংশ বিলিংয়ের ৪৫ দিনের মধ্যে প্রদান।
বিএএসিপির নেতারা বলছেন, বাংলাদেশ যেহেতু ব্যাপক সংস্কারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তাই বিজ্ঞাপনচিত্র শিল্পকেও সংস্কার করার এটাই উপযুক্ত সময়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা।
বিএএসিপির নেতারা বলছেন, বাংলাদেশ যেহেতু ব্যাপক সংস্কারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তাই বিজ্ঞাপনচিত্র শিল্পকেও সংস্কার করার এটাই উপযুক্ত সময়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা।
বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণে সম্পৃক্ত অন্যান্য সংগঠন যেমন অ্যাডভার্টাইজিং অ্যান্ড ফিল্মমেকারস অ্যাসোসিয়েশন (এডিএফএ), বাংলাদেশ অ্যালায়েন্স অব সিনেমাটোগ্রাফারস (বিএসি), পোস্ট প্রোডাকশন অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (পিএবি), আর্ট ডিরেক্টরস অ্যান্ড কস্টিউম ডিজাইনার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বিএএএমএস, মেকআপ, প্রোডাকশন ম্যানেজার, লাইট, ক্যামেরা, কাস্টিং পরিচালক এবং সেট কারিগরেরা ধর্মঘটকে সমর্থন দিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা জানিয়েছে।
করোনাকালে আত্মপ্রকাশ করে বিএএসিপি। বর্তমানে এর সদস্য দেশের ৬০টি প্রোডাকশন্স হাউস।