নাটোরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ৪ শহীদ পরিবারের সদস্যদের আবারো ১ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
বুধবার (৪ঠা সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টায় নাটোর শহরের বিভিন্ন এলাকায় শহীদ পরিবারের প্রত্যেককের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের পরিবারের আর্থিক সহয়তা তুলে দেন জেলা জামায়াতের আমির ড. মীর নূরুল ইসলাম ও জেলা জামায়াতের নেত্রীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের নাটোর জেলা জামায়াতের আমির ড. মীর নূরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে একটা স্বৈরাচার সরকার দীর্ঘ ১৭ বছর ধওে গুম, খুন, জুলুম, নির্যাতন চালিয়েছে। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং মানুষের স্বাধীনতাও কেঁড়ে নিয়েছিল।
দেশ ও দেশের মানুষকে ভারতের পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে রেখেছিল। ছাত্র-জনতা সহ্যৃ করতে না পেরে এ জালিম সরকার কে বিদায় দেয়ার জন্য রাজপথে নেমে ছিলো। এ আন্দোলন যারা জীবন দিয়ে বাস্তবায়ন করেছেন তারা শহীদ বলে দাবি করেন আমির। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক ইউনুস আলী, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক সাদিকুর রহমান, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আতিকুল ইসলাম রাসেল, নাটোর শহর শাখার আমীর মোওঃ রাসেদুল ইসলাম, সেক্রেটারী অধ্যাপক ফজলুর রহমান প্রমুখ।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতরা হলেন, নাটোর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন খানের একমাত্র ছেলে শহীদ মিকদাদ হোসেন খান আকিব, পৌর শহরের বড়গাছা এলাকার শরিফুল ইসলাম মোহন, মল্লিকহাটি এলাকার ইয়াসিন আলী, বউবাজার এলাকার মেহেদি হাসান রবিন ও নাটোর সদর উপজেলার তালতলা হাফরাস্তা এলাকার শাওন খান সিয়াম। প্রতিটি পরিবারকে এক লাখ টাকা করে সহয়তা প্রদান করা হয়।
উল্লেখ,গত ২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নাটোর শহরের হরিশপুরে জামায়াতের দলীয় কার্যালয়ে শহীদদের স্বজনদের হাতে এক লাখ টাকা করে সহয়তা তুলে দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।