চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ স্থলবন্দরে সাড়ে ৩ কেজি স্বর্ণ উদ্ধারের মামলায় মো. আলমগীর হোসেন (৩০) নামে আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আলমগীর শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউপির সোনাপুরের খাইরুল ইসলামের ছেলে। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে পিরোজপুর মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের কাছে স্বর্ণ পাচারে জড়িত কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেছেন তিনি। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই নামগুলো প্রকাশ করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তারকৃত আলমগীরকে আদালতে নেয়া হলে ১৬৪ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবীর তার জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সাড়ে ৩ কেজি স্বর্ণসহ গ্রেপ্তার ভারতীয় নাগরিক রেন্টু শেখের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন একই আদালত। বর্তমানে ওই ভারতীয় নাগরিক পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মো. মশিউর রহমান জানান, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত থাকাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন আলমগীর।
স্বর্ণ পাচারকারী চক্রের কয়েকজনের নাম বলেছেন তিনি। মামলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর হওয়ায় এ মুহর্তে জিজ্ঞাসাবাদ থেকে পাওয়া কোনো তথ্য জানানো যাচ্ছে না, তদন্তের স্বার্থেই এসব তথ্য গোপন রাখা হচ্ছে। মশিউর রহমান আরও বলেন, আলমগীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিতে রাজি হলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে আদালতে নেয়া হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবীর তার জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। জানা গেছে, রোববার দুপুরে সোনা মসজিদ স্থলবন্দরের জিরো পয়েন্ট থেকে ৩ কেজি ৪৭৬ গ্রাম স্বর্ণ উদ্বারসহ রেন্টু শেখকে গ্রেপ্তার করে বিজিবি। ওই দিন বিকেলে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আমীর হোসেন মোল্লা।
তিনি জানান, সোনামসজিদ জিরো পয়েন্টের পানামা গেটের সামনে অভিযান পরিচালনা করে বিজিবির একটি টহল দল। ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকটি সোনা মসজিদ স্থলবন্দরে পণ্য নামিয়ে ফেরত যাওয়ার সময় তল্লাশি চালিয়ে চালকের সিটের নিচ থেকে ৩ কেজি ৪৭৬ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। বিজিবি অধিনায়ক আরও জানান, উদ্ধার হওয়া স্বর্ণগুলো ১৫টি বার ও ৩৫টি তেজাবি পাকা স্বর্ণের টুকরো আকারে ছিল। স্বর্ণ ছাড়াও একটি ভারতীয় গাড়ি জব্দ করেছে বিজিবি। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার রেন্টু শেখ জানান, কোনো এক ব্যক্তি তাকে এসব স্বর্ণের বারগুলো দিয়েছিলেন ভারতে পাচারের উদ্দেশ্য। রোববার রাতে ৫৯ বিজিবি সুবেদার মো. কেরামত আলী বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পরে মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে।
বাবু/জাহিদ