
২০২১-০৪-০৬ ১৩:৪৩:২০ / Print
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ এবং ৫০ হাজার টাকা আদায় এবং আরো টাকা না দিলে সামাজিক মাধ্যমে ধারণ করা ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকির ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি মো. মাহফুজুর রহমানকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।
আদেশে আগামী ৮ সপ্তাহের জন্য তার জামিন স্থগিত করা হয়েছে। ফলে, এ সময়ের মধ্যে তিনি কারাগার থেকে বের হতে পারবেন না। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মাম মোরশেদ। অপরদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন সাবেক বিচারপতি ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন।
এর আগে গত ২৫ মার্চ এ বিষয়ে করা জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আসামির জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। আদালতে ওইদিন আসামি মাহফুজের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
এ মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে গত বছরের ২৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাহফুজুর রহমান ওই ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কাজলা সাঁকোপাড়া এলাকার একটি মেসে নিয়ে যান। সেখানে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন তিনি। ওই সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন তার বন্ধু বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী প্লাবন সরকার, রাফসান, জয়, জীবন ও বিশাল। পরে সেই ছাত্রীর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন তারা। তাদের দাবি করা টাকা না দিলে ধারণ করা ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে গভীর রাতে ওই ছাত্রীকে ছেড়ে দেন তারা।
এরপর ওই বছরের ২৭ জানুয়ারি দুপুরে ধর্ষণের শিকার ছাত্রী মতিহার থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে মাহফুজুর রহমান এবং তার দুই বন্ধু প্লাবন সরকার ও রাফসানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর তাদের কাছ থেকে ধর্ষণের ভিডিওসহ মোবাইল জব্দ করা হয়।
বাবু/আমেনা