
২০২০-১১-৩০ ২১:০২:০৭ / Print
মুখোমুখি দুই আলোচিত দল বেক্সিমকো ঢাকা ও জেমকন খুলনা। এই ম্যাচে সবার প্রত্যাশা ছিল জমজমাট কোন লড়াই দেখার; কিন্তু ম্যাচের প্রথম ইনিংসে মাঠে দেখা গেল ঠিক বিপরীতটাই। দুই দলই যেন নেমেছে খারাপ খেলার প্রতিযোগিতায়, যেখানে কম খারাপ খেলা দলের ভাগ্যে উঠবে বিজয়ীর মালা। ব্যাটিংয়ে নামা খুলনা বারবার দিয়েছে উইকেটের সুযোগ; কিন্তু এর বেশিরভাগই তালুবন্দী করতে পারেনি ঢাকার ফিল্ডাররা।
দুই দলের পাল্লা দিয়ে খারাপ করার মিছিলে ব্যাট হাতে আবারও হতাশ করেছেন খুলনা তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। রান পাননি এনামুল হক বিজয়, জহুরুল হক অমিরাও। ঢাকার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে হাত খুলে খেলতে পারেননি ইমরুল কায়েস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। চেষ্টা করেছিলেন দলের একমাত্র জয়ের নায়ক আরিফুল হক, তিনিও ঠিক সফল হননি।
ঢাকার পক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ, অভিষিক্ত বাঁ-হাতি পেসার শফিকুল ইসলামরা। তবে ফিল্ডারদের কাছ থেকে তেমন সমর্থন পাননি তারা, একের পর এক ছুটেছে ক্যাচ। সবমিলিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রানে থেমেছে খুলনার ইনিংস। যেখানে অতিরিক্ত খাত থেকেই এসেছে ১৬ রান। আসরে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিতে ঢাকাকে করতে হবে ১৪৭ রান।
বেক্সিমকো ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমের আমন্ত্রণে টস হেরে ব্যাট করতে নামে খুলনা। টানা চতুর্থ ম্যাচে দলকে হতাশ করেন খুলনার দুই তারকা ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয় ও সাকিব আল হাসান। পরপর দুই ম্যাচে ইনিংস সূচনা করতে নেমে সাকিব আউট হয়েছেন ৯ বলে ১১ রান করে, বিজয়ের ব্যাট থেকে আসে ৮ বলে ৫ রান। তিন নম্বরে নেমে জহুরুল করেন ৯ বলে ৫ রান।
মাত্র ৩০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর চাপটা সামাল দেন ইমরুল ও মাহমুদউল্লাহ। দু’জন মিলে গড়েন ৫১ রানের জুটি, তবে খরচ করে ফেলেন ৫৬টি বল। নাইম হাসানের বলে সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোরের ফাঁদে ধরা পড়েন ইমরুল। আউট হওয়ার আগে ৪ চারের মারে করেন ২৭ বলে ২৯ রান। তবে তার চেয়েও ধীর ছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে উইকেটে এসে মুখোমুখি ২৯টি বলে কোনো বাউন্ডারি হাঁকাতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ, ৩০তম বলে গিয়ে পান প্রথম চারের দেখা। শেষদিকে গিয়ে হাত খুলে খেলতে চেষ্টা করলেও সফল হননি। ইনিংসের শেষ ওভারে রুবেলের স্লোয়ারে বোল্ড হওয়ার আগে ৪৭ বলে করেছেন ৪৫ রান। যেখানে ছিল মাত্র ৩টি চারের মার।
মাহমুদউল্লাহ-ইমরুল চালিয়ে খেলতে ব্যর্থ হলেও দলের চাহিদা মেটানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন আরিফুল হক ও শুভাগত হোম চৌধুরী। মাহমুদউল্লাহকে খানিক চাপমুক্ত করে ৩ চারের মারে ১১ বলে ১৯ রান করেন আরিফুল। শেষপর্যন্ত অপরাজিত থাকা শুভাগত ১ চার ও ১ ছয়ের মারে মাত্র ৫ বলে করেন ১৫ রান। মূলত এ দুজনের কারণে দেড়শ ছুঁইছুঁই সংগ্রহ পেয়েছে খুলনা।
ঢাকার পক্ষে বল হাতে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন রুবেল, অভিষিক্ত শফিকুলের শিকার ২ উইকেট। মাত্র ১টি উইকেট পেলেও চার ওভারের স্পেলে ১০ রানের বেশি খরচ করেননি নাসুম। এছাড়া ৩ ওভারে ১৬ রানের বিনিময়ে ১ উইকেট নিয়েছেন নাইম হাসান।
বাবু/ফাতেমা