
২০২১-০১-০৯ ১৯:৪৯:৩০ / Print
গলাচিপায় চরবিশ্বাস ইউপি’র একাংশ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন চতুর্পাশে নদী দ্বারা বেষ্টনী ও নয়নাভিরাম সবুজ বনভূমিতে ঘেরা প্রায় সাড়ে পাঁচ শত একর ভূমি অধ্যুষিত এলাকার নামই হল ‘চরবাংলা’। এখানে প্রায় তিন হাজার লোকের বসবাস।
শিশুদের লেখাপড়ার জন্য শুধুমাত্র ৩ জন শিক্ষক মন্ডলীর মাধ্যমে দোতলা ভবনে পরিচালিত একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য তেঁতুলিয়া নদী পাড় হয়ে আসতে হয় চরবিশ্বাস ও চরকাজলে।
প্রাকৃতিক দূর্যোগ বন্যা বা আমাবস্যা-পূর্ণিমার জোয়ারে অতিরিক্ত পানি প্রবাহিত হয়ে তলিয়ে যায় বসবাসরত সমস্ত ঘরবাড়ি। প্রতি মুহূর্তে গুণতে হয় মৃত্যুর প্রহর। অতিরিক্ত পানি থেকে রক্ষার জন্য নেই কোন বেড়ি বাঁধ।
বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড় ও সাইক্লোন থেকে রক্ষায় শুধুমাত্র তাদের ভরসাস্থল হল পুরনো ফাটল ধরা মেরামত করা একতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি। সেখানে বন্যার সময় এতলোক আশ্রয় নেওয়ার মত নেই কোন জায়গা। এখানে সর্বোচ্চ আশ্রয় নিতে পারে দুই থেকে তিনশত মানুষ।
সরকারিভাবে গরিবদের বসবাসের জন্য তৈরি আশ্রয়ণ কেন্দ্র ছাড়া সমস্ত ঘরবাড়িগুলো নিচে মাটির তৈরি ভিটে উপরে টিনশেট ঘর। পাশের বনভূমি থেকে আসা রাতে ঘুমানোর সময় শিয়ালের ভয়ে শিশুদের রাখতে হয় খাঁচায় বন্দি করে। কারণ শিয়াল মাটি খুড়ে শিশুদের ঘুমন্ত অবস্থায় ধরে নিয়ে খেয়ে ফেলে। অনেক সময় বয়স্কদেরও আক্রমণ করে থাকে।
এছাড়া আরো আছে বৃহৎ প্রকৃতির অজগরসহ বিষাক্ত সাপের আস্তানা। এলাকার মানুষজন জীবিকা নির্বাহ করে থাকে কৃষি ও মৎস আহরণ-বিক্রয়ের মধ্য দিয়ে।
এ বিষয়ে চরবাংলা মসজিদের ঈমাম আ.রব, সোহরাব আকন ও রফিক সরদার জানান, এলাকায় বেড়িবাঁধ না থাকায় স্বাভাবিক জোয়ারে তলিয়ে যায় গোটা এলাকা। বন্যায় আশ্রয় নিতে নেই কোনো বড় ভবন। বাচ্চাদের লেখাপড়ায় রয়েছে শুধুমাত্র একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দ্রুত এ সমস্যার সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন বাবুল মুন্সি জানান, চরবাংলার মানুষ ও ঘরবাড়ি রক্ষায় বেড়িবাঁধ ও আশ্রায়ণ কেন্দ্রের জন্য প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি।
ইউএনও আশিষ কুমার বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কতৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।
বাবু/জেআর