
২০২১-০১-১১ ১৩:৪৩:২২ / Print
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে ব্রোকলি (সবুজ ফুলকপি) চাষ শুরু হওয়ায় এলাকায় সারা জাগিয়েছে। উৎসুক-আগ্রহী ও ভোজনরসিকরা বাজার থেকে এমকি ক্ষেতবাড়ি (জমিবাড়ি) গিয়ে ব্রোকলি (সবুজ ফুলকপি) সংগ্রহ করতে দেখা গেছে।
উপজেলার নশরতপুর গ্রামে চাষি মতিয়ার রহমান এই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে ব্রোকলি (সবুজ ফুলকপি) চাষ শুরু করেছেন। ফলন হয়েছে ভালো। এটা লাভজনক হিসেবে দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ব্রোকলি সবজি হিসাবে সবার নিকট সমাদৃত।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের নশরতপুর কাজীপাড়া গ্রামের চাষি মতিয়ার রহমান দক্ষিণ নশরতপুর দেনদাপাড়ায় জমি বর্গা নিয়ে ব্রোকলি চাষ করেছেন।
তিনি জানান, আমি প্রথমে রংপুরের সিও বাজার থেকে ব্রোকলির বীজ সংগ্রহ করি এবং ১৮ শতক জমিতে ১২২৫টি ব্রোকলির চারা লাগাই। ফলনও ভালো হয়েছে। তিনি ব্রোকলি পাইকারি বাজারে বিক্রি করছেন। এ জমি থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকার ব্রোকলি বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন। এছাড়াও তিনি একই জমিতে শালগম, ওলকপি, ফুলকপি, বেগুন, মরিচ ও আলু চাষ করেছেন।
চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ব্রোকলি উঁচু জমিতে বাম্পার ফলন হয়। সাধারণত যে ধরনের জলবায়ুতে ফুলকপির চাষ হয় সেখানে ব্রোকলি ভালো জন্মে। পানি জমে না এরুপ উঁচু জমি, উর্বর দো-আঁশ মাটি হলে ফলন ভালো পাওয়া যায়।
‘ব্রোকলির গাছ ১৫-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সবচেয়ে ভালো জন্মে। ব্রোকলি এপ্রিল মাসের পরেও ভালো ফলন দিতে পারে। দেশের সব অঞ্চলেই ব্রোকলি চাষ করা যেতে পারে। তবে সেচ ও পানি নিষ্কাশনের সুবিধা আছে এমন জমি ব্রোকলি চাষের জন্য নির্বাচন করতে হবে।’
তিনি আরো জানান, সুস্বাদু সবজি ব্রোকলি এদেশে প্রচুর আবাদের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে চাষিরা আমাদের পরামর্শগুলো কাজে লাগাতে পারলে ব্রোকলি চাষ করে লাভবান হওয়া।
‘ইউরোপ দেশের রুচিশীল সবজি হিসেবে বেশ পরিচিত ব্রোকলি সবজি বাংলাদেশের ফুলকপির মতো এটি অনেকেই বলে থাকেন (সবুজ ফুলকপি)। এ দেশে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করলে চাষিরা ভালো ফলন ও লাভবান হওয়া সম্ভাবনা বেশি। ’
জমিতে নশরতপুর গ্রামের উৎসুক ও ভোজনরসিক মো. শাফিয়ার রহমান ও মো. মতিউর রহমানের সাথে কথা হলে তারা জানান, ব্রোকলি (সবুজ ফুলকপি) একটি আদর্শ সবজি, প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন সমৃদ্ধ ও সুস্বাদু সবজি।
বাবু/জেআর