ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ৫নং বিরুনীয়া ইউনিয়নের বাইরপাথার এলাকায় আফাজ ব্রিক্স ফিল্ড নামে একটি ইটভাটায় এক পক্ষের শ্রমিকদের হামলায় অপর পক্ষের জাহাঙ্গীর আলম (১৮) নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছে।
সোমাবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ ঘটনায় অপর ৩ শ্রমিক আহত হন। এ ঘটনায় রাতে নিহতের মামাতো ভাই কালা মিয়া বাদি হয়ে ১১ শ্রমিককে আসামী করে ভালুকা মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ ১০জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহত শ্রমিক নেত্রকোণা জেলার কমলাকান্দা উপজেলার মাইজপাড়া মৃত শাহেদ মিয়ার ছেলে।
এলাকাবাসী ও থানা সূত্রে জানা গেছে, আফাজ ব্রিক্স ফিল্ড নামে একটি ইটভাটায় নেত্রকোণা ও পঞ্চগড় জেলার পৃথক দুটি শ্রমিক দল ইট তৈরির কাজ করতো। ঘটনার দিন সকালে পঞ্চগড় জেলার শ্রমিকদের ইট বানানোর বালি শেষ হয়ে গেলে তারা নেত্রকোণা জেলার শ্রমিকদের এখানের বালি আনার জন্য যায়।
এ সময় নেত্রকোণা জেলার শ্রমিকরা বালি দিতে মানা করলে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে পঞ্চগড় জেলার শ্রমিকরা বেলচা ও লাকড়ি দিয়ে নেত্রকোণা জেলার ৪ শ্রমিকের উপর অতর্কিতে হামলা করে। এতে নেত্রকোণা জেলার কমলাকান্দা উপজেলা বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম (১৮), কালা মিয়া (৪০), সবুজ মিয়া(১৮) ও হাছান মিয়া(৩০) আহত হন।
আহতদের মধ্যে জাহাঙ্গীর ও কালা মিয়াকে প্রথমে ভালুকা সরকারী হাসপাতাল ও পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে(মমেক) ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বিকাল সোয়া ৩টায় জাহাঙ্গীর আলম মারা যান। জাহাঙ্গীর আলমের মাথায় বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ ইট ভাটায় অভিযান চালিয়ে পঞ্চগড়ের ১০ শ্রমিককে গ্রেফতার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আব্দুর রাজ্জাক(১১), আব্দুল কুদ্দুস(২০), আঃ ছালাম(২৬), আসাদুজ্জামান(১৯), মিজানুর রহমান(২০), ফরিদুল ইসলাম(২৩), শিপন ইসলাম(১৮), মমতাজুর রহমান মতি (২১), জয়নাল ইসলাম (১৮) ও স্বপন(২৫)। গ্রেফতারকৃতরা সবাই পঞ্চগড় জেলা বাসিন্দা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস,আই জীবন বর্মন জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে ৫দিন করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ভালুকা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদি হয়ে ১১ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।