বগুড়ার নন্দীগ্রামে এক গরিব পরিবার প্রভাবশালী দাদন ব্যবসায়ীদের অত্যাচারে সর্বশান্ত হয়ে বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে তবুও পাচ্ছেনা কারোর কাছে একটু বিচার। প্রাপ্ত তথ্য জানা গেছে, নন্দীগ্রাম পৌর শহরের ৭নং ওয়ার্ডের আবুল কাশেমের ছেলে আমিনুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মিলি বেগুম সচ্ছলভাবে জীবন যাপন করার জন্য নন্দীগ্রাম বাজারে একটি পুরাতন কাপড়ের দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করে।
একসময় বাজার মন্দা ভাবের কারনে অভাবে পড়ে যায় আমিনুল ও তার স্ত্রী মিলি বেগম। কাপরের দোকানের কিছুটা লোকশান কাটাতে বাধ্য হয়ে ছুটে যায় স্থানীয় এক দাদন ব্যাবসায়ীর নিকট। পরে স্বামী-স্ত্রী দুজনে দাদন ব্যবসায়ীর নিকট থেকে সুদে ২০হাজার টাকা নেন। সুদের ২০ হাজার টাকার কিছু অংশ পরিশোধ করলেও পুরো টাকা দিতে না পাড়ায় স্থানীয় আরেক দাদন ব্যবসায়ীর নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে ওই দাদন ব্যবসায়ীকে সুদসহ পরো টাকা পরিশোধ করেন। প্রথম দাদন ব্যবসায়ীর থেকে সুদে টাকা নিয়ে পরিশোধ করে বেঁচে গেলেও রেহায় পায়নি ২য় দাদন ব্যবসায়ীর হাত থেকে। ২য় দাদন ব্যবসায়ীর নিকট থেকে নেওয়া ১০ হাজার টাকার প্রতি সপ্তাহে ২হাজার টাকা করে সুদ দিতে হয়। একপর্যায়ে আমিনুল ও তার স্ত্রী মিলি বেগম কঠোর পরিশ্রম করে সুদ সহ মোট ২১ হাজার টাকা পরিশোধ করে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সুদসহ ২১ হাজার টাকা পরিশোধ করার পরেও অন্যায়ভাবে জোরপূর্বক আরো টাকা দাবী করে ২য় দাদন ব্যবসায়ী। টাকা দিতে না চাইলে নানা ধরনের হুমকি ধামকি দিচ্ছে, এমনকি রাস্তাঘটে চলাচল প্রর্যন্তও করতে দিচ্ছেনা তাদের।
পুঁজির অভাবে দোকানটাও খুলতে পারছেনা আমিনুল ও তার স্ত্রী মিলি বেগম। না খেয়ে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে তারা এই সুবিচার পাওয়ার আশায় ঘুরছে অন্যের দ্বারে দ্বারে। স্থানীয় কয়েকজন ব্যাক্তি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে উক্ত প্রভাবশালী দাদন ব্যবসায়ীদের নিকট টাকা মাপ করে দেওয়ার কথা বললেও দাদন ব্যবসায়ী নানা ধরনের হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এব্যাপারে ভুক্তভোগী আমিনুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মিলি বেগম দাদন বাবসায়ীদের নাম প্রকাশ করা না শর্তে এই প্রতিনিধিকে জানান, দাদন ব্যবসায়ীদের টাকা না দিলে যেকোন সময় আমাদের মানসম্মানসহ মারধর করার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হুমায়ুন কবির বলেন দাদন ব্যবসীদের অত্যাচারের কথা আমি শুনেছি বিষয়টি নিয়ে যদি কেউ অভিযোগ করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।