সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, সমাজে এখনো প্রান্তিক মানুষ আছে এবং সেই প্রান্তিকতা নানা কারণে। কোথাও ভৌগলিক, কোথাও অবস্থানগত এবং সাম্প্রদায়িক কারণে। সেই প্রান্তিকতা দুর করবার জন্য বঙ্গবন্ধু বৈষম্যহীন সমাজ চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা কল্যাণমূখী রাষ্ট্র তৈরী করবার জন্য কাজ করে চলছেন অন্তভূক্তিমূলক উন্নয়নের মাধ্যমে। তার মাধ্যমেই এই প্রান্তকিতা দূর করে সমাজের পিছিয়ে পড়া প্রত্যেক মানুষকে উন্নয়নের যে মূলধারা সেখানে সম্পৃক্ত করতে চাই।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী উদ্যমী নারী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্ন জবাবে তিনি কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই প্রান্তিকতা দূর করতে গেলে চ্যালেঞ্জত কিছুটা আছেই। আর্থিক কিছু চ্যালেঞ্জ, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় যে চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেগুলোকে আমাদের মোকাবেলা করতে হবে। আর এসব কাজ আমরা সকলে মিলেই করতে হবে।
দীপু মনি বলেন, বাংলাদেশের এমন কোনো ক্ষেত্র নেই, যেখানে নারী নেই। নারী শুধুমাত্র আছে তাই নয়, বহু সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গায় এখন নারী আছে। কিন্তু তারপরেও আরো অনেক দুর যাওয়ার আছে আমাদের। সে কারণে আমাদের নারী-পুরুষ সকলকেই সেই লক্ষে কাজ করতে হবে। নারীর এগিয়ে আসা মানে পুরুষের পিছিয়ে যাওয়া নয়। নারী এগিয়ে যাওয়া মানে সমাজের সকলের এগিয়ে যাওয়া। যে কারণে নারী-পুরুষ সকলেই কাদে কাদ মিলিয়ে কাজ করার পরিবেশ ও পরিবেশ সকল ক্ষেত্রে আমাদের তৈরী করতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা আজ শুধুমাত্র দেশেই নয়, সারা বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
নারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নারীরা উদ্যোক্তা হয়ে তাদের আয় রোজগারের ব্যবস্থা করছেন তাই নয়, তারা অন্যদের কর্মসংস্থান তৈরী করছেন। নারীর জয়ের ক্ষেত্রে শুধুমাত্রা নারীর নয়, সমাজেরই জয়। কারণে সমাজের অর্ধেককে পিছনে রেখে কিংবা তাদেরকে কাজে না লাগিয়ে একটি সমাজের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি বিকশিত করতে পারি না। নারীকে পিছনে রেখে সমাজ কিন্তু এগিয়ে যেতে পারে না। যে কারণে আমাদের বঙ্গবন্ধু সমাজের যে বৈষাম্যহীনতা চেয়েছেন, সেখানে তিনি নারীর পুরুষের উভয়ের সমতাও চেয়েছেন। সে কারণে তিনি আমাদের সংবিধানেও যুক্ত করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে নারী-পুরুষ উভয়ের সমানতালে এগিয়ে যাওয়া জন্য কাজ করছেন। যে নারী কিছুটা পিছিয়ে ছিল তাকে সামনে আনার জন্য নানা প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। নারীদের ব্যবসার ক্ষেত্রে সমস্যা অনেক। এর মধ্যে আর্থিক ও প্রশিক্ষণের সমস্যা রয়েছে। সরকার নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যাংকিং এর যে সুবিধাগুলো করে দিয়েছেন সেগুলো অনেক উদ্যোক্ত সঠিকভাবে গ্রহন করতে পারেন না। এক্ষেত্রে এখন অনেক উদ্যোক্তা নারী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছেন এবং যার ফলে এখন অনেক নারী এগিয়ে আসছেন।
এ সময় চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত, চাঁদপুর ওমেন্স চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মনিরা আক্তারসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।