বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ১১ বৈশাখ ১৪৩২
বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫
শেরপুরে হদি সম্প্রদায়ের বিলুপ্ত উতুম পূজা অনুষ্ঠিত
শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: বুধবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৪, ৮:০৩ PM
শেরপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হদি সম্প্রদায়ের হারিয়ে যাওয়া উতুম পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার বিকালে জেলা শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এইচআরডিয়ের আয়োজনে জনপ্রতিনিধিদের কাছে আইপি জনগোষ্ঠীর প্রত্যাশা বিষয়ক সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এ পূজা প্রদর্শন করা হয়।

এ সময় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা হরলাল বর্মনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম।

এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আরিফুর রহমান, মানবাধিকারকর্মী ও  স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জনউদ্যোগয়ের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক তাপস বিশ্বাস, আইইইডিয়ের আইপি ফলো সুমন্ত বর্মন, এইচআরডিয়ের আহবায়ক বিদ্যান বিশ্বাস।

আলোচনা সভা শেষে হদি সম্প্রদায়ের বিলুপ্তপ্রায় উতুম পূজার প্রতীকী আয়োজন করা হয়। এ সময় হদি সম্প্রদায়ের নারীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী কৃষ্টি-কালচারের, উলুধ্বনি, গীত এবং ভজন সংগীত পরিবেশন করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথি ও আয়োজকরা জানায়, শেরপুরে গারো, কোচ, হাজং, হদি, বর্মন, ডালু ও বানাইসহ ৭টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জাতিসত্তার মানুষ বসবাস করেন। এদের মধ্যে  বেশিরভাগ জাতির গোষ্ঠী মানুষের ভাষাসহ কৃষ্টি-কালচার প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে। তাই তাদের কৃষ্টি-কালচার ধরে রাখতে বৈচিত্র্যময় জাতিসত্তার বসবাস এ বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে তুলে ধরতে হবে। অন্যদিকে আগামী প্রজন্ম যেনো তাদের কৃষ্টি-কালচার ফিরে পায় এবং তা ধরে রাখে।

মূলত বৃষ্টির জন্য প্রার্থণার ব্রত উতুম পূজা। চৈত্র-বৈশাখের খরার সময়ের ব্রত। উঠানে পিটুলি দিয়ে আঁকা লতা পাতার মাঝেই থাকে অশুভ নাশের ইঙ্গিত। শুভের আহ্বান। ব্রত মানে গেরস্থের বিপদ থেকে কিভাবে উদ্ধার পাওয়া যাবে তার নানা আলাপ থাকে ব্রত কথায় ও সুরে। পূজোটির চৈত্র মাসে হলেও আজ বুধবার তারা শেরপুর শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এইচআরডির আয়োজনে আইপি জনগোষ্ঠীর প্রত্যাশা বিষয়ক অনুষ্ঠানে প্রতীকী হিসেবে এ পূজা অর্চনার আয়োজন করেন হদি সম্প্রদায়ের মানুষ। তাদের কৃষ্টি-কালচার হারিয়ে যেতে বসলেও তাদের আগামী প্রজন্মের কাছে তা তুলে ধরতে এর প্রতীকী পূজার আয়োজন। সমাজের কাছে জানান দেন তারা এখনও টিকে আছে।

পূজা অর্চনার শুরুতে চারটি কলাগাছ পুঁতে তৈরি করা হয় পূজার আসন। আসনটি সাজানো হয় মুড়ি, খই, কলা, দই, চিড়া, গুড়সহ বিভিন্ন দ্রব্য দিয়ে। এছাড়াও মাটির তিনটি টুকরো দিয়ে তৈরি করা হয় ‘উতুম’। সেই ‘উতুম’ এর গলায় দেওয়া হয় ফুলের মালা। 

এরপর হদি নারীরা উলুধ্বনি এবং পুরোহিতের মন্ত্রে শুরু করা হয় উতুম পূজার কাজ। পুরোহিত এসময় জগত সংসারের উন্নয়ন ও ভালোর জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে আশীর্বাদ চান।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত