মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ ৯ বৈশাখ ১৪৩২
মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫
মিয়ানমারের সেনাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা চলছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৫:৫৪ PM
মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর নিপীড়নে পালিয়ে আসা সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের সঙ্গে সেই দেশের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের বাংলাদেশে আসাকে এক করে দেখা ঠিক হবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন কথা বলেন।
 
পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সেনাদের ফিরিয়ে নিতে নাইপিদোর সঙ্গে আলোচনার অগ্রগতি সম্পর্ক জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিয়ানমারের সরকার তাদের সেনা ও বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে এরইমধ্যে আগ্রহ ব্যক্ত করেছে। তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আলোচনা চলছে।
 
এ বিষয়ে মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বুধবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আশা করা যাচ্ছে, যত দ্রুত সম্ভব তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে।
 
মিয়ানমারের চলমান যুদ্ধে বাংলাদেশ যে কঠিন ভূরাজনৈতিক সমীকরণে পড়েছে, তা থেকে উত্তরণে কী ধরনের কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো হচ্ছে, প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাত। তবে এতে বাংলাদেশের জনগণ, সম্পদ কিংবা সার্বভৌমত্ব যাতে কোনোভাবে হুমকিতে না পড়ে, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রেখে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে।
 
তিনি বলেন, পাশাপাশি সুবিধাজনক সময়ে স্বেচ্ছায় টেকসই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সতর্ক। এছাড়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে নিউ ইয়র্কের স্থায়ী মিশন সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে।
 
‌‌‘প্রতিবেশী দেশ হিসেবে মিয়ানমারের শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা দেখতে চায় বাংলাদেশ। মিয়ানমার সংকট উত্তরণে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক যে কোনো উদ্যোগে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন অনিবার্যভাবে থাকা প্রয়োজন বলে মনে করে বাংলাদেশ,’ যোগ করেন তিনি।
 
কাউকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হবে না বলে বললেও এখন কেন বিজিপি ও অন্যরা ঢুকছে। মিয়ানমারের সেনাদের নৌরুটে ফেরত নিতে চাইলেও আমরা কেন বিমানে পাঠাতে চাচ্ছি, প্রশ্নে সেহেলী সাবরীন বলেন, মিয়ানমারের সরকারের নিয়মিত বাহিনী বিজিপি সদস্যদের আশ্রয়দান এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়াকে এক করে দেখা ঠিক হবে না। আশ্রিত বিজিপি সদস্যদের নিরাপদ দ্রুত প্রত্যাবাসন প্রধান বিবেচ্য বিষয়। বিমান বা নৌরুটের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ না কিংবা পূর্বশর্তও না। যত দ্রুত সময় তাদের প্রত্যাবাসন করা সম্ভব, সেটা বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ এমন প্রস্তাব নিয়েছিল।
 
‘কিছুদিন আগে ভারত থেকে বিমানযোগেই সেনা নিয়ে এসেছিল। সে কারণেই বাংলাদেশ তাদের বিমানযোগে ফিরত নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। বাংলাদেশ দ্রুততম সময়ে তাদের প্রত্যাবাসন চায়। এখানে সময় ক্ষেপণের সুযোগ নেই। আশা করা যায়, তাদের দ্রুতই ফেরত পাঠানো হবে, সেটা আকাশ কিংবা বিমানযোগে। সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে, তাদের নিরাপদে ফেরত পাঠানো।’
 
মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক কিংবা রাজনৈতিক কোনো কারণ থাকার প্রশ্ন অবান্তর বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
 
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র বলেন, সম্প্রতি ভারতেও মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যরা আশ্রয় নিয়েছিল। ভারত থেকে তারা নিজ দেশে ফিরে গেছেন। একটি নিয়মিত বাহিনীর বিপদগ্রস্ত সদস্য হিসেবে তারা বাংলাদেশে সাময়িক আশ্রয় নিয়েছেন। এবং প্রথমদিন থেকেই মিয়ানমার সরকার তাদের ফিরিয়ে নেয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছে।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত