খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের বরাতিয়া গ্রামের কৃষক তাপস সরকার ও বিজয়া সরকার তাদের ১০ শতক জমিতে এবার পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি (বেগুনি, হলুন ব্রোকাল এক্যারোটিনা জাতের) চাষ করে সফলতা পেয়েছে স্থানীয় কৃষকরা।
ভালো ফলনের পাশাপাশি ফুলকপির ভালো দামও পাওয়া যাচ্ছে। ফলে রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন স্থানীয় সবজি চাষিরা। রঙিন ফুলকপির সাফল্যে খুশি স্থানীয় কৃষি বিভাগও। ডুমুরিয়া অঞ্চলের টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প হতে, ফুলকপির বীজ, রাসয়নিক সার, জৈব সার, জৈব বালাইনাশক, কীটনাশক ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে।
উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ওয়ালিদ হোসেন বলেন, এটি স্থানীয় মাটি ও আবহাওয়ায় সাথে কতটা উপযোগী বা কেমন ফলন হয় আমরা দেখতে চেয়েছি। আমরা সফল হয়েছি বলে জানান ।
বিশ্বের অন্যান্য দেশে এ জাতের ফুলকপি ও বাঁধাকপি সবজির পাশাপাশি সালাদ হিসেবেও খাওয়া হয়। সাদা ফুলকপির চেয়ে রঙিন ফুলকপিতে পুষ্টিগুণ বেশি। দেখতেও সুন্দর। আর আমাদের স্থানীয় বাজারে ব্যাপক চাহিদার পাশাপাশি আশেপাশের অন্যান্য কৃষক এই রঙ্গিন ফুলকপি চাষে ব্যপক আগ্রহ প্রকাশ করছে।
সাধারণ ফুলকপি চাষের যে পদ্ধতি ওই একই পদ্ধতিতে রঙিন ফুলকপি চাষ হয়। খরচ ও পরিশ্রম একই। শুধু জৈব সার ব্যাবহার করেই এই ফুলকপি চাষ করা যায়।
এই বিষয়ে কৃষক বিজয়া সরকার দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন পত্রিকার প্রতিনিধিকে বলেন, বাজারে সাদা ফুলকপি যেখানে ১০ থেকে ১৫ কেজি পাওয়া যায় সেখানে এই রঙিন ফুলকপি দাম ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি করতে পারছি । এতে আমি ব্যাপক খুশি এবং আগামী মৌসুম থেকে আমি এই রঙিন ফুলকপি আরো বেশি জায়গায় আবাদ করবো।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইনসান ইবনে আমিন বলেন, এগুলো জাপানি জাতে ফুল কপি। আমাদের দেশে মাত্র দুই বছর আগে আবাদ শুরু হয়। ডুমুরিয়াতে সাধারণ সাদা কপিই চাষ হয়, এবারই প্রথম এই রঙিন কপি চাষ করা হয়েছে। আগামীতে কেউ ঘদি এমন রঙিন কপি আবাদ করতে চান তাহলে কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।