নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘আমরা তোমাদের ভুলবো না’ শীর্ষক মহান ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪ অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়েছে।
এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ভাস্কর্য চত্বরে একুশে ফেব্রুয়ারির সংগীত (আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো...) পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, ‘শুধুমাত্র ভাষার মাসেই ভাষাসৈনিকদের স্মরণ করলে হবে না, তাদের আত্মত্যাগের কারণ অনুধাবন করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে যে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল তার অনেকগুলো কারণের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- তিনি ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনাও একই পথে চলছেন; কিন্তু সে পথটাও অনেক কণ্টকাকীর্ণ। কেননা আমরা এখনও বিভিন্ন ষড়যন্ত্র দেখতে পাই। তাঁর জীবনের ওপর একুশ বারের মতো হামলা করা হয়।’
অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক রাষ্ট্রীয় সম্মানপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ ও উন্নয়ন-চিন্তক ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ মহান একুশে ফেব্রুয়ারিকে বাঙালি মনোজগতের আলোড়ন সৃষ্টিকারী চেতনা উল্লেখ করে বলেন, ‘মূলত একুশে ফেব্রুয়ারি থেকেই আমাদের স্বাধিকার ও অধিকার আন্দোলন শুরু হয়। পরবর্তীতে ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু মুক্তির সংগ্রাম বলতে আমাদের সবার অর্থনৈতিক মুক্তি ও সমনাগরিক অধিকার বুঝিয়েছেন। আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অর্থ হচ্ছে এদেশে এমন একটি সমাজ হবে- যেখানে প্রত্যেকের যে যার অবস্থানে সমান অধিকার ভোগ করবে।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ূন কবীর চৌধুরী। আলোচনা সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কলা অনুষদের ডিন ও উক্ত অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম।
আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল নৃত্য পরিবেশনা এবং সংগীত বিভাগের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় সংগীতানুষ্ঠান। পরবর্তীতে সঙ্গীত বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, আবৃত্তি সংসদ ও আদিবাসী শিল্পীদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।