‘আমি একটা ভুল কইরা ফালাইছি। তিন দিন আগে আমার এক মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়। আমার স্বামী নাই। তারে মানুষ করতে পারমু না ভাইব্যা পঞ্চাশ হাজার টাকায় বিক্রি কইরা দিছি। আগের ঘরের ছয় বছর বয়সী আরেকটা মেয়ে আছে। প্রথম ঘরের মেয়েরে মাইন্না নেয় না দেইখা দ্বিতীয় স্বামীর লগে তিন মাস আগে ছাড়াছাড়ি হইয়া গেছে। মেয়ে বিক্রির টাকা এহনো ছুইয়া দেহি নাই। ওই টাকা ফিরাইয়া দিয়া আমার মেয়েরে ফেরত চাই। দয়া কইরা উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন। আমার মা-বাবা কোনো আত্মীয় নাই। আমি এতিম।’
সন্তান বিক্রির পর এমনভাবেই কল দিয়ে সাহায্য চেয়েছিলেন এক নারী। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর-৯৯৯-এ চেয়েছিলন সহায়তা।
পরে ৯৯৯ নম্বরের কল গ্রহণকারী কনস্টেবল আনোয়ার গাজীপুরের কোনাবাড়ি থানায় বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। কোনাবাড়ি থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই মা এবং যার মাধ্যমে সন্তান বিক্রি করেছিলেন তার প্রতিবেশীর থেকে ক্রেতার ঠিকানা সংগ্রহ করে। পরে গাজীপুরের নামাপাড়া থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ উদ্ধার শিশুটিকে মায়ের কাছে বুঝিয়ে দেয়।
কোনাবাড়ি থানা পুলিশ দলের নেতৃত্ব দেয়া এসআই কামরুজ্জামান ৯৯৯-কে শিশু উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।