২০২৩ সালের ১৪ জুন চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন জামাল খান এলাকায় নাশকতা ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ভাংচুর মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি জালালকে অবশেষে গ্রেফতার করেছে রাউজান থানা পুলিশ।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার নাশকতা ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ভাংচুর মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জালালকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাউজান থানার ওসি জাহিদ হোসেন৷
চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের ২১ তারিখ রাউজানের ১নং হলদিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড এলাকায় স্থানীয় মোঃ মফিজ (৪০) নামের এক মুদির দোকানদারকে হত্যা চেষ্টা চালিয়েছে জালাল৷ সেই মামলায় (মামলা নং ১২, তাং- ২২/০২/২৪ইং) বর্তমানে সে জামিনে আছে বলে জানিয়েছেন রাউজান থানার ডিউটি অফিসার৷
জালালের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার বাদি মোঃ মফিজ জানান, জালাল একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসী। সে আমাকে আমার মুদির দোকানে এসে মেরে ফেলার চেষ্টা চালানোর পাশাপাশি দোকানের ক্যাশ বক্স লুট করে নিয়ে যায়। সে চট্টগ্রাম শহরে বিএনপি'র রাজনীতির সাথে জড়িত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জালাল ইতিপূর্বে যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিত সাকা চৌধুরীর পুত্র হুম্মাম কাদেরের বিশ্বস্ত ক্যাডার হিসেবে পরিচিত ছিল। চট্টগ্রাম নগরীতে সেই হুম্মাম কাদেরের সুপারিশে নগর ছাত্রদলের সহ-সম্পাদক পদ পায় জালাল। নগরীর কালামিয়া বাজার এলাকায় অস্থায়ী ভাবে বসবাস করে নগরীতে বিভিন্ন সময় বিএনপি'র হয়ে নাশকতা মূলক কার্যক্রম চালিয়ে রাউজানে আত্মগোপনে থাকে সে। নিজেকে বাঁচাতে রাউজানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের সাথে উঠাবসা করে রীতিমতো আওয়ামী লীগার সেজে গেছে এই জালাল।
২০২৩ সালের ১৪ জুন বিএনপি'র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে জামাল খান ওয়ার্ডের দেয়ালে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক চিত্র ভাংচুর চালানো হয়৷ সেই ঘটনায় ১৫ জুন কোতয়ালি থানার এসআই ইমরানুস সাজ্জাদ বাদি হয়ে একটি মামলা করেন (মামলা নং-২৬)৷ মামলা এজাহারের ১৮ নম্বর আসামি মোঃ জালাল দীর্ঘদিন পলাতক ছিল।
এই বিষয়ে জানতে কোতোয়ালি থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গৌতম তিওয়ারি বাংলাদেশ বুলেটিনকে (রাত সোয়া ১০টায়) বলেন, আমাদের থানার একটি মামলার পলাতক আসামী জালালকে রাউজান থানা পুলিশের সহায়তায় গ্রেফতার করা হুয়েছে৷ তাকে আমাদের থানার হেফাজতে নিতে একটি টিম ইতিমধ্যে রওনা হয়েছে৷