রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫
জাপা নেতার বিরুদ্ধে এসডিএসের ভূমি দখলে নিয়ে মাটি কাটার অভিযোগ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশ: শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৪, ৪:০৯ PM
টাঙ্গাইলের ইসলামিক রিসার্স ইনস্টিটিউট ও এসডিএসের ৭১২ শতাংশ ভূমি নকল দলিল সৃষ্টি করে মাটি কেটে নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের যুগ্ম-জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা করেছেন প্রতিষ্ঠান দুটির চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন সিরাজী। 

জানা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পোড়াবাড়ী ও গদুরগাতি মৌজার ৭১২ শতাংশ ভূমি ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক রিসার্স ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও সোস্যাল ডেভেলপমেণ্ট সংসদ (এসডিএস) এর মালিকানাধীন। জমিগুলো ব্যাংকে মর্টগেজ রেখে ঋণ নেওয়া হয়। নানাবিধ কারণে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠান দুটির সভাপতি ও চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন সিরাজী ২০০২ সালে গ্রেপ্তার হন। ওই সময় দুটি প্রতিষ্ঠানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি বা হস্তান্তরের উপর টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

চেয়ারম্যান হাজতে থাকার সুযোগে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা নুরুল ইসলামের যোগসাজসে সত্য গোপন করে টাঙ্গাইল জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক হাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক নিজ নামে উল্লেখিত ৭১২ শতাংশ ভূমির দলিল রেজিস্ট্রি করে নেন।   

সরেজমিনে দেখা যায়, সম্প্রতি ইসলামিক রিসার্স ইনস্টিটিউট ও এসডিএসের ৭১২ শতাংশ ভূমির মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। ভেকু মেশিন (খননযন্ত্র) দিয়ে দিনরাত মাটি কাটা হচ্ছে এবং ড্রামট্রাক ও মাহেন্দ্র ট্রাক দিয়ে সেই মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে। দিনরাত ট্রাক দিয়ে মাটি আনা-নেওয়া করায় স্থানীয়রা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠছে।

আইআরআই ও এসডিএসের চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন সিরাজী বলেন, আইআরআই ও এসডিএসের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বিক্রি বা হস্তান্তরে জেলা প্রশাসকের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তারপরও তার প্রতিষ্ঠানের অসাধু কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম নিজে দাতা সেজে জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক হাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হককে জমি রেজিস্ট্রি করে দেন। ওই জমি নিজের দাবি করে হাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক মাটি কেটে বিক্রি করে জমির শ্রেণি পরিবর্তনের পাশাপাশি অবৈধভাবে দখল করছেন। 

এ বিষয়ে জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক হাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, এসডিএসের চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন সিরাজীর নামে সারাদেশে ১৩৫টি মামলা দায়ের হলে ২০০২ সালে তিনি গ্রেপ্তার হন। ওইসব মামলার মধ্যে তিনটিতে তার সাজা হয়। ফলে এসডিএসের ৪২জন কর্মকর্তা রেজুলেশন করে নুরুল ইসলামকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। 

নুরুল ইসলাম ২০১৫ ও ২০১৭ সালে তাকে জমি রেজিস্ট্রি করে দেন। এ সময় ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রতিষ্ঠানের কেউ না হয়েও তার কাছ থেকে জমি বিক্রি বাবদ টাকা গ্রহণ করেন। পরে তিনি টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে তিনি ইসমাইল হোসেন সিরাজীকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছে।


« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত