আগামী ২৪ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা৷ ২৫ এপ্রিল লালদিঘীর মাঠে অনুষ্ঠিত হবে জব্বারের বলীখেলার ১১৫তম আসর৷
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে লালদীঘির সিটি করপোরেশন মিলনায়তনে আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও বৈশাখী মেলার ট্রফি এবং জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়৷ ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, নৌকা বাইচ, হাডুডু সহ অনেক খেলা প্রায় হারিয়ে গেছে৷ কিন্তু জব্বারের বলীখেলা ও এই উপলক্ষ্যে বসা মেলাটার সাথে আমাদের আবেগ জড়িত৷ এভাবে সবাই এগিয়ে এলে কোন ঐতিহ্য হারাবে না। চট্টগ্রাম ভারতবর্ষকে পথ দেখিয়েছে। আমার অনুরোধ নতুনদের বলীখেলা শিখিয়ে যাবেন। যা কিছু লাগে আমি দায়িত্ব নেব, ব্যবস্থা করবো।
বলীখেলার এবারের পৃষ্ঠপোষক এনএইচটি হোল্ডিংসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানসীর বলেন, চট্টগ্রামের সংস্কৃতি বলীখেলা। ছোট থেকে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম কখন খেলাটা, মেলাটা হবে। চট্টগ্রামের হারানো ঐতিহ্য তুলে ধরতে হবে। এ লক্ষ্যে আমরা বলীখেলায় পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছি।
আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও বৈশাখী মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শওকত আনোয়ার বাদল বলেন, ২৫ এপ্রিল আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে৷ ১৯০৯ সালে এ বলীখেলার প্রচলন করেছিলেন আবদুল জব্বার সওদাগর। করোনার কারণে দুই বছর বলীখেলা হয়নি। এ খেলা সফল করার জন্য সবার সহযোগিতা চাই।
কমিটির সহ সভাপতি চৌধুরী ফরিদ বলেন, এটি ঐতিহাসিক বলী খেলা। ১১৫তম আসর এবার। সারা বিশ্বে এ খেলা তুলে ধরতে সাংবাদিকদের ভূমিকা রাখতে হবে। বলী খেলা টুরিজম বোর্ডের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। বলীদের প্রশিক্ষণ ও পৃষ্ঠপোষকতা দরকার।
কমিটির সভাপতি জহর লাল হাজারী বলেন, ২৫ এপ্রিল বলী খেলা এবং ২৪-২৬ বৈশাখী মেলা হবে। আগামী ২৩ এপ্রিল অস্থায়ী কার্যালয়ে বলীখেলায় অংশ গ্রহণে ইচ্ছুকরা নিজেদের নাম নিবন্ধন করতে পারবে৷
এসময় উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া সংগঠক হাফিজুল ইসলাম, কাউন্সিলর রুমকী সেনগুপ্ত, সাবেক কাউন্সিলর মুহাম্মদ জামাল হোসেন, জাবেদ নজরুল ইসলাম, বলী খেলার রেফারি সাবেক কাউন্সিলর এমএ মালেক প্রমুখ।