টানা দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড গরমের সাধারণ ও কর্মজীবী মানুষের ভোগান্তি আর কষ্ট বেড়েছে। তবে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। তীব্র রোদের কারণে দিনমজুর, রিকশাচালক ও ভ্যানচালকরা কাজ করতে পারছেন না। এদিকে কাজ না করলে খাবার জুটবে না। তাই পেটের তাড়নায় প্রচণ্ড দাবদাহ উপেক্ষা করে কাজে বেরিয়েছেন অনেকে। গরম উপেক্ষা করে বের হলেও অনেকেই হাঁসফাঁস করছেন।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ঘড়িতে তখন সময় দুপুর প্রায় ১২টা। তাপমাত্রা প্রায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময়ে ফসলি মাঠে খালি মাথায় দাঁড়ানো ছিল প্রায় অসম্ভব। অথচ সেই রোদে জমিতে ধান কাটছিলেন কৃষকরা। তাদের সবার শরীর থেকে তখন ঝরছিল ঘাম। প্রচণ্ড গরমে শরীরে ক্লান্তি থাকলেও তাদের মুখে ছিল হাসি। তাদের সে হাসি কয়েক গুন বাড়িয়ে দিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানা পুলিশ।
কখনো ধানকাটা শ্রমিকের জমিতে। কখনো সড়কে। গ্রীষ্মের এই দাবদাহে মেহনতি মানুষের পাশে দাঁড়াতে দিনভর পুলিশের ছুটে চলা। স্যালাইন ও পানির বোতল হাতে নিয়ে মেহনতি মানুষের পাশে দাঁড়ায় আখাউড়া থানা পুলিশ। তারা ছুটে যায় ধান কাটারত কৃষকের কাছে। সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বা ছুটে চলা ক্লান্ত রিকশা চালক, ভ্যান চালকের হাতে পানির বোতল ও স্যালাইন তুলে দেন আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরে আলম। পৌর এলাকার তারাগন, মোগড়া ইউনিয়নের নয়াদিল, টানুয়াপাড়া এলাকায় নূরে আলমের নেতৃত্বে স্যালাইন ও পানি বোতল তুলে দেওয়া হয়।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. নূরে আলম জানান, মঙ্গলবার ১০০ বোতল পানি ও ১০০টি স্যালাইন কৃষক, শ্রমিক, রিকশা চালকের মাঝে তুলে দেওয়া হয়। গ্রীষ্মের দাবদাহ চলাকালীন অবস্থায় কর্মজীবী এসব মানুষদের সচেতনতার পাশাপাশি এ কার্যক্রমও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।