ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মুশফিকুর রহিমের আউট নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। গতকাল ম্যাচের ঘটনা নিয়ে আজ ফেসবুকে প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন মুশফিক।
মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গতকাল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সঙ্গে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের ম্যাচে এ ঘটনা ঘটে। ৩১৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করা প্রাইম ব্যাংক ইনিংসের ৩৪তম ওভারে অফ স্পিনার নাঈম হাসানের বলে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ তোলেন মুশফিক। বাঁ দিকে ডাইভ দিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন আবু হায়দার।
তবে ক্যাচ নেওয়ার পর আবু হায়দারের পা বাউন্ডারি দড়ি ছুঁয়েছে কি না, তা নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। বিসিবির সম্প্রচারিত ইউটিউব চ্যানেলের ফুটেজেও এ নিয়ে যথেষ্ট সংশয় ছিল।
ছক্কা নাকি আউট—এ বিতর্কে প্রায় ১০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। ড্রেসিংরুম থেকে প্রাইম ব্যাংক অধিনায়ক তামিম ইকবাল, কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন বেরিয়ে আসেন। মোবাইল ফোনে ভিডিও দেখে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায় তামিমকে। যদিও শেষ পর্যন্ত ১০ রানে আউট দেওয়া হয় মুশফিককে।
সেটির রেশ ছিল ম্যাচের পরও। ৩৩ রানে হারার পর প্রাইম ব্যাংকের কোনো খেলোয়াড় মোহামেডানের কারও সঙ্গে রীতি অনুযায়ী হাত মেলাননি। তামিম বেরিয়ে এলেও দুই আম্পায়ার মনিরুজ্জামান ও সাথিরা জাকিরের সঙ্গে কথা বলে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান।
সেঞ্চুরি করে ম্যাচসেরা হওয়া মোহামেডান ওপেনার রনি তালুকদার পরে এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা তো মাঠেই ছিলাম। বাকিটা প্রাইম ব্যাংকের ব্যাপার।’ আর আবু হায়দারের ক্যাচ নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘সেটা তো রনিই (আবু হায়দার) ভালো জানে। কারণ, রনিই ক্যাচটা ধরেছে। রনির ওপরেই পুরোটা নির্ভর করবে। ও যেই সিদ্ধান্তটা দেবে সেটার ওপরেই…কারণ এখানে তো ওভাবে ক্যামেরা ছিল না। থার্ড আম্পায়ার যদি থাকত, তাহলে সেটা ভালোভাবে দেখতে পারত। এখন এটা খেলোয়াড়দের ওপরই যায়।’