মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ ৯ বৈশাখ ১৪৩২
মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫
বন্দি ইসরাইলি তরুণীকে হামাস যোদ্ধার বিয়ের প্রস্তাব
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ৮:০৪ PM
বন্দি এক ইসরাইলি তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের এক যোদ্ধা। ওই যোদ্ধা তাকে বিয়ের আংটিও দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক সাক্ষাৎকার এমনটাই জানিয়েছেন ওই তরুণী।

টাইমস অব ইসরাইলের এক প্রতিবেদন মতে, নোগা ওয়েইস নামের ওই তরুণী হামাসের হাতে বন্দি ছিলেন। ৫০ দিন পর গত বছরের নভেম্বরে বন্দি বিনিময়ের সময় তিনি মুক্তি পান।













ইসরাইলি টেলিভিশন চ্যানেলকে সাক্ষাৎকারে নোগা জানান, এক হামাস যোদ্ধা তার প্রেমে পড়েন। এরপর তাকে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দেন।
 
নোগা বলেন, বন্দিত্বের ১৪তম দিন তিনি (হামাস যোদ্ধা) আমাকে একটি বিয়ের আংটি দেন। মুক্তি পাওয়ার আগ পর্যন্ত আমি তার সাথেই থাকতাম। 
নোগা আরও বলেন, তিনি আমাকে বলতেন, সবাইকেই মুক্তি দেয়া হবে। কিন্তু আপনি এখানে আমার সাথে থাকবেন এবং আমার সন্তানদের লালন করবেন।
 
গত বছরের ৭ অক্টোবর নোগার পাশাপাশি তার মা শিরিকেও বন্দি করে নিয়ে যায় হামাস। কিন্তু মা ও মেয়েকে আলাদা আলাদা জায়গায় রাখা হয়। নোগা জানান, কয়েকদিন পর তাদের একত্র করা হয়।
 
সাক্ষাৎকারে নোগা বলেন, এক হামাস সদস্য বলেন, তিনি আমাকে ভালবাসেন। আমাকে বিয়ে করতে চান। আমার মাকে আমার কাছে আনা হবে। যাতে তিনি বিয়ের অনুমতি দেন।
 
তিনি আরও বলেন, এরপর আরবদের পোশাকে এক নারীকে আমার কাছে আনা হয়। আমি চিনতে পারি, তিনি আমার মা। আমি ভেবেছিলাম, তারা তাকে মেরে ফেলেছে। কিন্তু না, তিনি বেঁচে আছেন।
নোগা জানান, হামাস যোদ্ধার বিয়ের প্রস্তাবে তিনি রাজি হননি। তিনি বলেন, তার প্রস্তাবে আমি হাসির ভান করেছিলাম। মেয়ের সাথে হামাস যোদ্ধার বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হননি মাও।
 
এরপর গত ২৫ নভেম্বর ইসরাইলের সাথে এক যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় বন্দি বেশ কয়েকজন ইসরাইলি নাগরিককে মুক্তি দেয় হামাস। তাদের সাথে নোগা ও তার মা শিরিকেও মুক্তি দেয়া হয়।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত