প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষিত বনাঞ্চল কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের রাজারকুল রেঞ্জের আওতাধীন পাগলির বিল বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা আবছারের নামে অনিয়মের নানান ধরনের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার বিকেলে অনুসন্ধানে গেলে দেখা মিলে পাগলির বিল বিট কর্মকর্তার অফিস তালাবদ্ধ। পরে তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আমি কাজে বের হয়ছি। তবে এর পূর্বেও পাগলির বিল বিট কর্মকর্তার অফিসে চার বার অনুসন্ধানে গেলেও তালাবদ্ধ দেখা যায়।
অনেক চেষ্টায় অনুসন্ধানে বিট অফিসে গেলে পাওয়া গেল ফরেস্ট গার্ড শাহ আলম কে। তার কাছ থেকে দ্বায়িত্বরত বিট কর্মকর্তা কোথায় জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ওনাকে তো এখানে পাবেন-না ওনি বিট অফিসে আসেন না অনেক দিন হচ্ছে, এসে হুট করে চলে যান। সে ভাড়া বাসা করে থাকেন বিট অফিসের চেয়ে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে তার সাথে কথা বলতে হলে তার নিজস্ব ভাড়া বাসায় যেতে হবে।
বিভিন্ন তথ্য মতে জানা যায়, দীর্ঘদিন একই অফিসে চাকরির কারণে তার পৈত্রিক সম্পত্তির মত হয়ে গেছে অফিস। ইচ্ছে করলে আসেন ইচ্ছে না করলে মাসে একটিবারও আসেন না। বিট অফিসের এক কর্মকর্তা জানান বিট কর্মকর্তা আবছার একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। সে বিটে দ্বায়িত্ব পাওয়ার পর ভূমিদস্যু ও পাহাড় খেকোদের সাথে আঁতাত করে কোটি টাকার মালিক বনে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ বুলেটিন প্রতিনিধির এক অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে অজানা কিছু তথ্য। পাগলির বিল বিটের আওতাধীন ছায়াখোলা নামের এলাকায় সরকারি বনভূমি দখল করে পাহাড় কেটে বাড়ি নির্মাণ করতেছে এলাকার প্রভাবশালী তিন ব্যক্তি। ছৈয়দ আলম, আলী হোসেন, নুর আলম, তারা বিট কর্মকর্তাকে একটি বাড়ি প্রতি ৩০ হাজার টাকা করে দিয়েছে বলে জানা যায়। শুধু তাই নয় গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিট কর্মকর্তা নেতৃত্বে বর্তাতলী প্রাইমারি স্কুলের পিছনে প্রায় ১৫-২০ টি গর্জন গাছ কর্তন করা হয়েছে।
গাছের প্রতিটি পিসের প্রতি টাকা নেন বিট কর্মকর্তা। এইসব দুর্নীতির বিষয়ে প্রতিবাদ করায় ফরেস্ট গার্ড, মো, শাহ আলমকে মারধর করার ঘটনা ঘটেছে। পরে ভুক্তভোগী ফরেস্ট গার্ড শাহ আলম উখিয়া থানায় গিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ে করেন। বিট কর্মকর্তা আবছারের বিরুদ্ধে এই বিষয়টি নিয়ে দৈনিক কক্সবাজার ৭১ পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এ বিষয়ে বিট কর্মকর্তার অফিসে চার বার অনুসন্ধানে গেলে তার অনুপস্থিতে বক্তব্য নেওয়া হয়নি। পরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান এইসব সম্পূর্ণ মিথ্যা, আমি কারো কাছ হতে টাকা নেইনি, আমি তাদের চিনি না। এটা আমার বিরুদ্ধে একটা নাটক সাজানো হচ্ছে।
তবে ফরেস্ট গার্ড শাহ আলমের গায়ে হাত তুলার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এটাও সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা ও বানোয়াট। নিউজ প্রকাশের বিষয়ে বলেন, দৈনিক কক্সবাজার ৭১ পত্রিকা আমার নামে বানোয়াট ও মিথ্যা তথ্য নিয়ে নিউজ করেছে।
এ বিষয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তা নাজমুল এর কাছ থেকে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে ফরেস্ট গার্ড শাহ আলম আমাকে লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।