গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের পাইটাল বাড়ি গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম সোহেলকে (৪১) কলিজা কেটে দুই ভাগ করার হুমকি দেওয়াসহ সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, একই গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে রুবেলের (৪১) সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে পার্টনারে বালুর ব্যবসা করছে সোহেল। এদিকে রুবেল বেশ কয়েক দিন ধরে তাদের পার্টনারশিপের বালুর হাউজ থেকে তার ব্যক্তিগত সাইডে বালু বিক্রি করছে। এ ব্যাপারে সোহেল কয়েক দিন ধরে রুবেলের পিছনে ধরনা দিচ্ছে টাকা পয়সার হিসাব নিকাশ নিয়ে বসার জন্য কিন্তু; টাকার হিসাব দিতে বসছে না রুবেল। এর জেরে সোহেলকে মারধর করা ও কলিজা কেটে দুই ভাগ করার হুমকি দেয় রুবেল।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সোহেল বলেন, আমার ব্যবসার পার্টনারশিপের টাকা আত্মসাৎ করার জন্য পরিকল্পিতভাবে আমার ওপর দলবল নিয়ে রুবেল হামলা করেছে।
সোহেল বলেন, আমি বুঝতে পারি নাই তার পায়ঁতারা ও নানা অজুহাত। সেই লক্ষ্য হাসিলের জন্য বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে পাইটাল বাড়ি গ্রামের দুই সড়কের মোড়ে পার্টনার রুবেলের কাছে ব্যবসায়িক হিসাব নিয়ে বসতে চাইলে ওই রুবেল ক্ষিপ্ত হয়ে তার দলবল নিয়ে আমার উপর হামলা চালিয়ে কিলঘুসি লাঠি সোটা দিয়ে আঘাত করে। ওই সময় আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে আমাকে প্রাণে রক্ষা করে।
ঘটনার সময় উপস্থিত থাকা স্থানীয় যুবলীগ নেতা হারুন জানান, আমরা সবাই মিলে সোহেলকে ওদের হাত থেকে প্রাণে রক্ষা করেছি। সোহেল একটি হাউজ ভাড়া নিয়ে রুবেলকে পার্টনার হিসেবে সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘদিন বালুর ব্যবসা করে আসছে। কিন্তু ইদানিং রুবেল তার সাইডে বালু বিক্রির টাকার হিসাব না দেওয়াই তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। আর এই বিরোধের জের ধরে সোহেলের উপর হামলা হয়।
ঘটনার স্থলে উপস্থিত স্থানীয় কয়েক জানান, রুবেল সোহেলকে মারধর গালিগালাজসহ কলিজা কেটে দুই ভাগ করার হুমকি দেয়। আমরা সোহেলকে রক্ষা করে ঘটনাস্থল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে ডাক্তারের কাছে পাঠিয়ে দেই। রুবেলের ছোট ভাই মাসুম এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে বেড়ায়। সে বিভিন্ন সময় মানুষকে মারপিট করার কারণে শ্রীপুর থানাসহ আদালতে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রুবেল ও তার ভাই মাসুম এই এলাকায় কয়েক দিন পর পর যার তার সঙ্গে গণ্ডগোল সৃষ্টি করে এলাকার সাধারণ মানুষের শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট করছে। আমি প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করছি দ্রুত এই গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। তা না হলে এরা এক সময় বড় ধরণের ঘটনা ঘটাতে দ্বিধাবোধ করবে না।
সোহেলকে মারধর ও কলিজা কেটে দুই ভাগ করার হুমকির ব্যাপারে মুঠোফোনে রুবেলের কাছে জানতে চাইলে তার সহচর শাহীন বলে- সে অন্য লোকের সঙ্গে কথা বলতেছে। একটু পরে রুবেল ফোন ব্যাক করে তখন ওই ব্যাপারে জানতে চাইলে কোনো উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেয়।
৬ নম্বর বরমী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসনর এ ব্যাপারে বলেন, ঘটনার বিষয়টি আমি এখনো জানিনা তবে খোঁজ খবর নিচ্ছি।
শ্রীপুর থানার ওসি তদন্ত সাখাওয়াত হোসেন জানান, এখনো ওই এলাকার ঘটনার ব্যাপারে কোনও অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ আসলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।