শুক্রবার ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ১২ বৈশাখ ১৪৩২
শুক্রবার ২৫ এপ্রিল ২০২৫
চৌমুহনী-পেকুয়া বাজার সড়কে নেই গতিরোধক, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
এম গোলাম রহমান, পেকুয়া (কক্সবাজার)
প্রকাশ: রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৮:৪১ PM
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার প্রধান ফটকের  চৌমুহনী থেকে পেকুয়া বাজার পর্যন্ত ব্যস্ততম এই সড়কে প্রতিদিন চলছে হাজার হাজার গাড়ি। দূরপাল্লার বাসসহ স্থানীয় বিভিন্ন ছোট বড় যানবাহনের বেপরোয়া গতিতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। অদক্ষ ড্রাইভার এবং কম বয়সী চালকের হাতে রয়েছে জণগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে তিন হাজারের বেশী বেটারী চালিত অটো টমটম গাড়ি। ফলে দ্রুতগতির এই সড়কে কোনও গতিরোধক না থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় রয়েছে সাত আটটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ পথচারী। 

পেকুয়ার বৃহত্তর বাণিজ্যিক কেন্দ্র আলহাজ্ব কবির আহাম্মদ চৌধুরী পেকুয়া বাজার থেকে চৌমুহনীর দুরত্ব এক কিলোমিটার। এই পথ অতিক্রম করতে একজন যাত্রীর ভাড়া গুণতে হয় পাঁচ টাকা। পাঁচ টাকার ভাড়ায় চালিত গাড়ির সংখ্যা আনুমানিক চার হাজারের বেশি। যান চলাচলে কোনও ধরনের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা নাই বললেই চলে। গতিরোধক না থাকায় অদক্ষ চালকের বেপরোয়া গতিতে দুর্বিষহ জনজীবন। 

এদিকে সড়কের মাঝামাঝি পেকুয়ার বহুল পরিচিত পেকুয়া ইসলামিয়া আশরাফুল উলুম মাদ্রাসা হেফজখানা ও এতিমখানা। ছুটির পরে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকের রাস্তা পারাপারে প্রতিনিয়ত জীবন ঝুঁকি। তাছাড়া এই সড়কের পাশে রয়েছে পেকুয়া আর্দশ মহিলা মাদ্রাসা, দারুত তাকওয়া মহিলা হিফযখানা, দারুর রহমান হিফযখানা, তাজবীদুল করআন হিফজখানা, দারুন নাজাত মহিলা মাদ্রাসা, আল মা'আরিফ মাদ্রাসা, তাবলীগ মার খাঁজ জামে মসজিদ ও হিফজখানা, প্রি ক্যাডেট স্কুল এন্ড কলেজসহ লাইফ কেয়ার হাসপাতাল,নুর ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ব্রাক অফিস, পল্লী বিদ্যুৎ সাব জোনাল অফিস ও বাংলাদেশ ইসলামি ব্যাংক। 

সচেতন মহলের দাবি, জনগুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক  এই সড়কের পাশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় গতিরোধক দরকার। গতিরোধক না থাকায় প্রতিদিন ঘটছে অনাকাঙিক্ষত অহরহ ছোট বড় দুর্ঘটনা। “একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না” এই শঙ্কায় দিন কাটছে সড়কের পাশে বসবাসকারী সাধারণ পথচারীসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত কোমলমতি শিশুদের। এছাড়া দ্রুত গতির এই সড়কে গতিরোধক না থাকায় প্রাণ হারিয়েছেন ইতোমধ্যে চার পাঁচজন মানুষ। আহত হয়েছেন অনেকেই। 

এই বিষয়ে পেকুয়া আশরাফুল উলুম মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আবুল বাশার ও দারুত তাকওয়া মহিলা হিফজখানার পরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, মাদরাসা ছুটির পর আমরা অনেক টেনশনে থাকি, রাস্তায় টমটমের অভাব নেই। পনেরো বছরের কম বয়সী ছেলে ও টমটম চালায়। মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে একটা ছাত্রের অঘটন ঘটলে দায়ভার কে নিবে। সড়কে দুর্ঘটনা কমাতে অনেকগুলো পদক্ষেপ রয়েছে তার মধ্যে গতিরোধক অন্যতম। তাদের দাবী, দুর্ঘটনা এড়াতে চৌমুহনী থেকে পেকুয়া বাজার পর্যন্ত সড়কে দুইটা স্পীড ব্রেকার (গতিরোধক) দেওয়া হউক। 

এই বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা প্রকৌশলী আসিফ মাহমুদ জানান এই সড়কে সব সময় প্রচুর জ্যাম থাকে এবং এটা আরসিসি ঢালায় রোড় বিধায়, এখানে গতিরোধক দিলে আরো সমস্যা সৃষ্টি হবে। 

এই বিষয়ে জানতে কক্সবাজার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ সরকার জানান, সরকারিভাবে নির্দেশনা হচ্ছে সড়কে গতিরোধক থাকা যাবেনা। গতিরোধক থাকলে সড়কে যে এক্সিডেন্ট হবেনা তা কিন্তু নই। তারপরও আমরা বিষয়টা অফিসিয়ালি দেখছি। 

এ বিষয়ে পেকুয়ার নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা সাইফুল ইসলাম জানান, চৌমুহনী থেকে পেকুয়া বাজার সড়কে দুর্ঘটনা নিরসন করতে গতিরোধকের বিষয়ে আগামী আইন শৃংখলা কমিটির মিটিং ও উন্নয়ন সভার আলোচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত