"রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ শুধু দেশের নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সম্পদ। এরকম বৃহত্তর কৃত্রিম হ্রদ আর কোথাও নেই।
কাপ্তাই হ্রদ ও এ হ্রদের মৎস্য সম্পদ রক্ষা করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের চেষ্টা করতে হবে। সে কারণে আধুনিক মৎস্য অবতরণ ঘাট সহ যা যা করার ও সহযোগিতার প্রয়োজন তা মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় করবে"।
কাপ্তাই হ্রদে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও মৎস্যজীবীদের মাঝে ভিজিএফ (চাল) বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসময় কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান।
শনিবার (০৪ মে) সকালে রাঙামাটি মৎস্য অবতরণ ঘাটে কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্রের আয়োজনে এ আলোচনা সভা ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার'র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাঙামাটির সাংসদ বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সেলিম উদ্দিন, নৌ পুলিশ অতিরিক্ত আইজি মোঃ আবদুল আলীম মাহমুদ, মৎস্য অধিদপ্তর মহাপরিচালক সৈয়দ মোঃ আলমগীর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট মহাপরিচালক ড. মোঃ জুলফিকার আলী।
মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী আরও বলেন, কাপ্তাই হ্রদে আগামী তিন মাস মাছ ধরা নিষেধ, যে মাছের পোনা ছাড়া হচ্ছে তা আপনাদের জন্য। এ মাছ আমরা এসে ধরবো না, আপনারা এ মাছ ধরবেন এবং এ মাছ থেকে উপার্জিত অর্থে সংসার চালাবেন। তাই এ মাছকে নিজেদের স্বার্থে বড় হতে দিতে হবে। আগামী তিন মাস হ্রদে মাছ ধরা যাবে না। নিজেরা মাছ ধরবেন না এবং অন্যদেরও মাছ ধরতে নিষেধ করবেন।
আলোচনা সভার শেষে অতিথিরা জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ ও মাছের পোনা হ্রদে অবমুক্ত করেন এবং বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে কাপ্তাই হ্রদে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও মৎস্যজীবীদের মাঝে ভিজিএফ (চাল) বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।