আজ সোমবার (৬ মে) খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ডিপিএলে লড়ছে প্রাইম ব্যাংক আর শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। এই হেভিওয়েট ম্যাচের আগে বিতর্কে জড়ালেন সাকিব। স্টেডিয়ামের ভেতর ও বাইরে ভক্তদের ওপর চড়াও হলেন সাকিব।
ঘটনা ম্যাচ শুরুর আগে। মাঠের ভেতর দেশসেরা দুই কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও সোহেল ইসলামের সঙ্গে কথা বলছিলেন সাকিব। সেসময় এক ভক্ত হুট করেই হাতে ফোন নিয়ে সাকিবের কাছে এগিয়ে যান সেলফির আবদার নিয়ে। বিষয়টি নজরে আসে সাকিবের। প্রথমবার মানা করলেও সাকিবের কথা শোনেননি সেই ভক্ত।
এসময় আচমকা তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সাকিব। তেড়ে গিয়ে সেই ভক্তকে মারতে যান এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার। এবং শেষমেশ সেই ভক্তকে মাঠ থেকে বের করে দেন তিনি। বিষয়টি নজর এড়ায়নি উপস্থিত গনমাধ্যমকর্মীদেরও।
এখানেই শেষ নয়, সকালে স্টেডিয়ামের প্রবেশের সময়ও মেজাজ হারান সাকিব। তখনও এক ভক্ত সেলফি তোলার জন্য ফোন নিয়ে এগিয়ে আসলে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে হাত দিয়ে দূরে সরিয়ে দেন সাকিব। সবমিলিয়ে ম্যাচের আগে বেশ আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা গেছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে।
প্রসঙ্গত, ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে বিতর্ক কখনো পিছু ছাড়েনি সাকিবকে। সাকিবের ক্যারিয়ারে এমন ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও নানা সময়ে ভক্তদের ওপর মেজাজ হারিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ, ২০১৮ সালে আমেরিকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ চলাকালীন সাকিব আল হাসান এক ভক্তের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ভিডিও ভাইরাল হলে নিজের ফেসবুকে এ নিয়ে ব্যাখ্যাও দেন তিনি।
এর আগে, ২০১৩ সালে বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলাকালে এক দর্শক অটোগ্রাফ চাওয়ায় সাকিব তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মনোক্ষুণ্ন দর্শক কটূক্তি করেন। তখন গ্যালারিতে গিয়ে ওই দর্শদের কলার চেপে ধরেন সাকিব।
অতীতে, ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো বিতর্কে জড়ান সাকিব আল হাসান। ভারতের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে ব্যাট করছিলেন তিনি। কিন্তু সাইড স্ক্রিনের পাশে এক দর্শকের নড়াচড়া তার মনোযোগ বিঘ্ন ঘটালে হঠাৎ ক্রিজ ছেড়ে বাউন্ডারি লাইনে ছুটে যান সাকিব, ব্যাট উঁচিয়ে ওই দর্শককে হুমকি দেন।
এছাড়াও আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে উগ্র ও দৃষ্টিকটু আচরণ করাটা সাকিবের জন্য নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।