নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সস্পাদক ও মল্লিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শিকদার মোস্তফা কামালকে (৪৮) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (১০ মে) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে লোহাগড়া পৌরসভার কুন্দশী-মঙ্গলহাটা রাস্তার পাশে ছমির শিকদারের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত চেয়ারম্যান শিকদার মোস্তফা কামাল উপজেলার উত্তর মঙ্গলহাটা গ্রামের আকরাম হোসেন শিকদারের ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মল্লিকপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শিকদার মোস্তফা কামাল পৌরসভার কুন্দশী গ্রামের ছমির শিকদারের বাড়িতে সালিশ বৈঠক করার উদ্দেশ্যে লোহাগড়া বাজার থেকে মোটরসাইকেল যোগে রওনা হয়। রাত সাড়ে ৮ টার দিকে তিনি ছমির শিকদারের বাড়ির সামনে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় মোস্তফা কামালকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
কর্তব্যরত ডা. সুব্রত কুমার কুন্ডু জানান, মোস্তফা কামালের বুকে ও পিঠে গুলির জখমের চিহ্ন রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
আহত মোস্তফার মেঝ ভাই শিকদার রেজাউল করিম জানান, তার বুকে ও পিঠে গুলির চিহ্ন রয়েছে। ঢাকা নেওয়ার পথে পদ্মা সেতুতে উঠার আগে রাত ১১ টার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে।
পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, এ ঘটনার জের ধরে মোস্তফা কামালের সমর্থিত লোকজন রাত সাড়ে ৯টার দিকে একই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আকরাম হোসেন লিপুর সমর্থিত লোকজনের বাড়ি ঘিরে হামলা চালায়। এ সময় লিটন শেখের ছেলে ফয়সাল শেখ (২৪) ও পান্নু মোল্যার ছেলে পলাশ মোল্যা (৩৫) গুলিবিদ্ধ হন। আহতদের উদ্বার করে প্রথমে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় জানান,ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। নিহত চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের লাশ ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।