মাত্র তিন মাস আগে বিয়ে হয়েছিল আসাদুজ্জামান সানি (২১) ও তাসফিয়ার (২০)। শুক্রবার (১৭ মে) সাকালে নবদম্পতি পতেঙ্গার নাজিরপাড়া এলাকায় তাসফিয়ার বোন নুসরাতের বাসায় বেড়াতে যান।
বিকেলে নুসরাত (৩৫) ও তার ছেলে নাজমুস সাকিবকে (৮) নিয়ে বেড়াতে যান পাশের নেভালে সড়কে। রাতে বাড়ি ফেরা জন্য গাড়িতে উঠতে সড়কের পাশ দিয়ে হাঁটার সময় হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারানো লরির এসে তাদের ধাক্কা দেন৷ সেই ধাক্কায় সড়কটির পাশে থাকা আরো দুজন পথচারি সহ সবাই ছিটকে পড়ে পাশের পুকুরে।
স্থানীয়রা দ্রুত এসে সানির স্ত্রী তাসফিয়াসহ ৪ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে৷ রাত সাড়ে ১১টায় সানিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করেন। রাত একটা নাগাদ ফায়ার সার্ভিসের টিম পুকুরে ডুবে থাকা লরিটি উদ্ধারের পর সেখানে মৃত অবস্থায় সানির ভাগ্নে নাজমুস সাকিবের লাশ উদ্ধার করা হয়। আজ (১৮মে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সানির স্ত্রী তাসফিয়া মৃত্যু বরণ করেন৷ এখনো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন নিহত তাসফিয়ার বড় বোন ও নিহত সাকিবের মা নুসরাস৷ একই দূর্ঘটনায় আহত হয়ে চমেক হাসপাতলে চিকিৎসাধীন আছেন ইমরান (৮) ও নুরুল আমিন (২১)।
গতকাল শুক্রবার (১৭ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর সংলগ্ন প্রজাপতি পার্ক সংলগ্ন সড়কে এই দূর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাড়ে ৮টার দিকে পতেঙ্গা থেকে আসা একটি লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছয়জন পথচারীকে নিয়ে প্রজাপতি পার্ক সংলগ্ন পুকুরে পড়ে যায়। স্থানীয় লোকজন দ্রুত এসে চার জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পুকুর থেকে সানিকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাত পৌনে ১টার দিকে লরিটি পুকুর থেকে তুললে সেটির নিচ থেকে বেরিয়ে আসে শিশু সাকিবের মরদেহ।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর জোনের এডিসি হারুনুর রশীদ বাংলাদেশ বুলেটিনকে জানিয়েছেন, রাতেই ফায়ারের সার্ভিসের সহায়তায় উদ্ধার কাজ চালানো হয়েছে। পুকুরে আর কোন নিখোঁজ নেই। লরি চালককে আটক করা হয়েছে।