শনিবার (১৮ মে) রাজধানী সিউলের হ্যান রিভার পার্কে অনুষ্ঠিত হয় ভিন্নধারার এ প্রতিযোগিতা। এ আয়োজনে অংশ নিয়েছিল প্রায় ১০০ জন প্রতিযোগী। প্রত্যেককে ঘুমাতে হয়েছে দেড় ঘণ্টা। কার ঘুম কত ভালো তা নির্ধারণ করা হয়েছে হার্ট রেটের পার্থক্য পরিমাপ করে। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী অনেকের মধ্যেই ছিল বেশ উচ্ছ্বাসের সুর।
প্রতিযোগিতাটির আয়োজক লিম জি-হিওন বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষ খুব কম ঘুমায়। আশা করি এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মানুষ বিশ্রাম নেওয়া এবং ঘুমের সুফল সম্পর্কে সচেতন হবে। ঘুমের গুরুত্ব সম্পর্কে ধারণা দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য।
প্রতিযোগীদের কেউ কেউ বলেছেন, সাধারণত আমরা সপ্তাহজুড়েই অনেক কাজ করি। ক্লান্ত হলেও ঘুমাতে পারি না। প্রতিযোগিতাটি দারুণ, ঘুমাতে পারব শুনে এতে অংশ নিতে এসেছি। অংশগ্রহণকারীদের তাদের সবচেয়ে আরামদায়ক পোশাক পরে আসতে বলা হয়েছিল। প্রতিযোগিতার স্থানে দেওয়া এয়ার কোচে শুয়ে ঘুমাতে হয়েছে তাদের। প্রতিযোগিদের প্রত্যেককে ঘুমাতে হয়েছে দেড় ঘণ্টা।
উল্লেখ্য, বিশ্বে রাতে বেশি ঘুমায় ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকরা। অপরদিকে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের বাসিন্দারা ঘুমায় সবচেয়ে কম।