৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপে ২১মে কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর ও রাজারহাট উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এবার নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও পুলিশের বিশেষ তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। এ পর্যন্ত কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে, তিন উপজেলায় ৭ লাখ ৮১ হাজার ভোটারের মধ্যে এবার ভোট পড়েছে মাত্র ৩৫ শতাংশ। এ তথ্য জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম জেলা নিবার্চন কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর কবির। এছাড়াও তিন উপজেলায় আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর তৎপরতায় কোথাও কোন বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি। বিজিবি, আনসার, র্যাব ও পুলিশের ১২শ সদস্য নিবার্চনের দায়িত্বে নিয়জিত ছিলেন। ভোটের এমন পরিবেশ দেখে খুশি সাধারণ ভোটাররা।
তিন উপজেলায় ২৮টি ইউনিয়ন ২টি পৌরসভায় ৩১৭টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলে। ৭ লাখ ৮১ হাজার ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে মাত্র ৩৫ শতাংশ। অপরদিকে এবার ৩ উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৩৫ জন প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১৪ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ জন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন।
পৌরসভার চর হরিকেশ এলাকার ভোটার আবুল মিয়া বলেন, এবার নির্বাচনে ভোটের পরিবেশ খুব ভালো ছিল, সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পেরেছি। পুলিশের তৎপরতা দেখে খুবই ভালো লেগেছে। যার কারণে আমাদের এখানে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
অন্যদিকে, ভোট গ্রহণ শুরুর আগে থেকেই কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট ও উলিপুর উপজেলার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ ও পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম সহ নির্বাচনী রিটার্নিং কর্মকর্তা।
কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রায় ১ হাজার ২শ জন পুলিশ সদস্য তিন উপজেলায় নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করেছেন। এই পুলিশ সদস্যরা কয়েকদিন থেকে অনেক কষ্ট করেছে। যার ফলে আমরা এবং আপনাদের সবার সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণ নিবার্চন উপহার দিতে পেরেছি।