দশমিনা উপজেলায় চারটি ঘর আগুনে পুড়ে ছাই ২ ঘন্টা পর ফায়ারসার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর নিয়ন্ত্রণে।
গতকাল শনিবার রাত সাড়ে নয়টায় উপজেলার রণগোপালদী ইউনিয়নের উত্তর রণগোপালদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় চারটি ঘর আগুনে পুড়ে ছাই ২ ঘন্টা পর ফায়ারসার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর নিয়ন্ত্রণে।
স্থানীয় ও পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের ০২নং ওয়ার্ডের কাজী বাড়ী রাত সাড়ে নয়টায় আগুন লাগে। প্রথমে জাকির কাজির ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত শুরু হয়। ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর প্রভাবে দশমিনা উপজেলায় সন্ধ্যার পর থেকে বাতাসের তিব্রতা ও ঘুরি ঘুরি বৃষ্টি প্রবাহমান। আগুন লাগলে বাতাসের কারনে মিনিটে ছড়িয়ে পরে। স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও তারা ব্যর্থ হয়ে পরে দশমিনা ফায়ারসার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সদস্যরা ঘটনা স্থলে গিয়ে দুই ঘন্টা চেষ্টারপর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনের তিব্রতায় একই বাড়ির চারটি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে ক্ষিতির পরিমান প্রায় ১০লক্ষ টাকা।
ক্ষতিগ্রস্ত কালাম কাজী বলেন, বৈরি আবহাওয়া আমরা ঘরের মধ্যে ছিলাম হঠাৎ একটি শব্দ হয় দৌড়ে গিয়ে দেখি আগুন লাগছে পড়ে নিবাতে গেলে মুহূর্তের আগুন ছড়িয়ে পরে। মনে হয় বৈরি আবহাওয়ার কারনে বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার করলে লাইনে ত্রুটি থাকায় মিটার বাস্ট হয়ে আগুন লাগে। প্রথমে এলাকার লোজন ও পরে ফায়ারসার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সদস্যরা দুই ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয় তখোন বাড়ির চারটি ঘর পুরে ছাই হয়ে যায়। ঘরের কোন মালামাল রক্ষা করতে পারিনি।
দশমিনা ফায়ারসার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর অধিনায়ক আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে তড়িৎ ঘটনা স্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করি বৈরি আবহাওয়ার জারনে বাতাসের গতিবেগ বেশি চিলো তাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় হয়। ধারনা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট এর কারনে আগুনের সূত্রপাত। চারটি ঘর পুড়েছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপনে প্রথমিক ভাবে বলা যা ৭- ৮ লক্ষা টাকা।