প্রবল জোয়ারে তলিয়ে গেছে সুন্দরবনের দুবলারচর ও কটকা এলাকা। আবহাওয়া বিভাগ ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারি করেছে এ এলাকায়। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সুন্দরবনের নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে চার ফুট বেশি পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
শরণখোলা রেঞ্জের কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার সুরজিৎ চৌধুরী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব সুন্দরবনে শুরু হয়েছে। ঝড়ো বাতাস গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও জোয়ারে কটকা বনাঞ্চল তলিয়ে গেছে।’
জেলে কামাল উদ্দিন জানান, ‘সাগরের জোয়ারে দুবলার চর এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রচণ্ড ঝড় বাতাসের সঙ্গে সঙ্গে সাগরে বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে।’
বনবিভাগের খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক সিএফ মিহির কুমার দে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রেহাই পেতে বন বিভাগের দুবলা, কোচিকালী শেলারচরসহ সাগর তীরবর্তী ফরেস্ট ক্যাম্প সমূহের বনরক্ষীদের নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সুন্দরবনের নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ ফুট বেশি পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। জোয়ারের পানিতে সুন্দরবন তলিয়ে গেছে। একই সঙ্গে করমজলের রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে। তবে আমাদের বন্যপ্রাণীগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে।
কয়রা উপজেলার বাসিন্দা সোহেল রানা বলেন, শাকবাড়িয়া নদীসহ সুন্দরবন ও কয়রা উপকূল এলাকার নদ-নদীতে জোয়ারের পানি বেড়েছে। ঝড়ো বাতাস বইছে।
শরণখোলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে বলেস্বর নদীসহ বিভিন্ন নদ-নদীতে ৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়িবাঁধ দুর্বল হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।