মহাবিপদ সংকেত পেয়েও আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে যাচ্ছেন না উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা। বারবার মাইকিং করেও আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো যাচ্ছে না তাদের।
শরণখোলা উপজেলার বলেশ্বর নদীর রায়েন্দা বেড়িবাঁধ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাইকিং করে উপকূলবাসীকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। তবে দুপুর গড়ালেও নিজ বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা।
রায়েন্দা বেড়িবাঁধ এলাকার বাসিন্দা সেলিনা খানম বলেন, ‘এ ধরনের ঝড়ের বিপদ সংকেত মাঝেমধ্যে আসে, তাই এখন আর তেমন ভয় লাগে না। সবকিছু গুছিয়ে রেখেছি, যদি ঝড় আসে তখন আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাবো।’
জামাল উদ্দিন নামে আরেকজন বলেন, ‘১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের জন্য এখানে মাইকিং করে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে বলেছে। শুনেছি ঘূর্ণিঝড়টি রাতে আসবে, তাই এখনও আশ্রয়কেন্দ্রে যাইনি। যদি ঝড় বেশি দেখি তাহলে আশ্রয়কেন্দ্রে যাবো।’
স্থানীয় এক যুবককে আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছেন না কেন জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জবাবে বলেন, ‘বহুত চুবনি খাইছি এমন, এখন অভ্যাস হয়ে গেছে। পুলিশ যত সময় না পিটাইবো, তত সময় আশ্রয়কেন্দ্রে যাবো না।’
ওয়ার্ড সদস্য জালাল উদ্দিন রুমি বলেন, সংকেত পাওয়া মাত্র এলাকায় মাইকিং করে সকলকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ঝড় শুরু হলে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় আমরা স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা গুলোতে অবস্থান করবো।
শরণখোলার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত বলেন, যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমাদের উপজেলাটি সবথেকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। প্রায় প্রতিটা ঘূর্ণিঝড়েই এখানকার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন। ঘূর্ণিঝড় রিমালে যাতে ক্ষয়ক্ষতি কম হয় সে লক্ষ্যে আমরা প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। সকলে যাতে আশ্রয়কেন্দ্রে আসে সেজন্য মাইকিং করা হচ্ছে।