মানুষের জীবন রক্ষায় উপকূলের বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে সাতক্ষীরা উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে ঝোড়ো বাতাসে গাছ পড়ে দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য এরইমধ্যে অনেক এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।
সম্ভাব্য ঝড়ে আক্রান্ত জেলাগুলোর বিদ্যুৎকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ঝড় চলে যাওয়ার পর দ্রুত যাতে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায়, সে লক্ষ্যে সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ইতোমধ্যে সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সবাইকে স্ট্যান্ডবাই থাকতে বলা হয়েছে। এদিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে যাতে তা ঠিক করা যায়, এজন্য প্রয়োজনীয় মালামাল বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়েছে। ঝোড়ো বাতাসের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা যাচ্ছে না।
সাতক্ষীরা পিবিএস-এর জেনারেল ম্যানেজার জিয়াউর রহমান জানান, আমরা জুম মিটিং করে প্রতিটি অফিসে প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছি। আমরা সাধারণত তিন ধরনের প্রস্তুতি নিই—ঝড় আসার আগে, ঝড়ের সময় এবং ঝড় পরবর্তী সময়ে করণীয়। ঝড় আসার আগে আমরা মোবাইলে চার্জ দিয়ে রাখতে বলি সবাইকে, মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় মালামাল সংগ্রহ করে রাখা হয়, যারা স্ট্যান্ডবাই থাকবেন, তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ঝড়ের সময় যাতে কেউ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট না হয়, সেজন্য মাইকিং করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি আমরা চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে রাখছি। যাতে তাদের এলাকায় বিদ্যুতের তারের ওপরে গাছ পড়লে সরাসরি যোগাযোগ করা যায়।
আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে বৃষ্টিসহ দমকা ও ঝোড়ো হাওয়া অব্যাহত রয়েছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।