ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে আরিচা-কাজিরহাট, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও ধাওয়াপাড়া-নাজিরগঞ্জ নৌ-রুটে প্রায় ৩৬ ঘন্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে পুনরায় চলাচল শুরু হয়েছে। এছাড়া, এসব রুটে লঞ্চ, স্পিডবোটসহ সব ধরনের নৌযান প্রায় ৩৮ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর বেলা ১২টায় আবার চলাচল শুরু হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) আরিচা বন্দরের ট্রাফিক সুপারভাইজার আফছার আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় পার হতে আসা ট্রাকগুলো ফেরি ঘাট এলাকায় আটকে রয়েছে। এতে, ট্রাকের চালক-শ্রমিকদের নানা ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে তারা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রেমাল উপকূলের দিকে ধেয়ে আসলে এর প্রভাবে পদ্মা-যমুনায় ঝড়ো হাওয়া বইতে থাকে। এ সময় দুর্ঘটনা এড়াতে কর্তৃপক্ষ আরিচা-কাজিরহাট, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, ধাওয়াপড়া-নাজিরগঞ্জ নৌ-পথে ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোটসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। গত রবিবার বেলা দেড়টা থেকে আরিচা-কাজিরহাট ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া লঞ্চ, স্পিডবোট এবং রাত ১০টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। পরে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব কেটে গেলে নদী শান্ত হলে নৌযান চলাচল শুরু হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা গেছে, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ২০টি লঞ্চ, ১৮টি ফেরি এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ১৩টি লঞ্চ, ৪টি ফেরি ও ৪২টি স্পিডবোট এবং ধাওয়াপাড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুটে ২টি ফেরি চলাচল করছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ মুহাম্মদ খালিদ নেওয়াজ জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রোববার দিবাগত রাত ১০টা থেকে আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও ধাওয়াপাড়া-নাজিরগঞ্জ নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে গেলে নদী শান্ত হলে পুণরায় ফেরি চলাচল চালু করা হয়। যানবাহনগুলোকে সিরিয়াল অনুযায়ী পার করা হচ্ছে। তবে, যাত্রীবাহী বাস সংখ্যায় কম রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে, দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় আরিচা-কাজিরহাট, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও ধাওয়াপাড়া-কাজিরহাট ফেরিঘাটে কয়েকশ’ পণ্যবাহী ট্রাকে সাড়ি রয়েছে। ঘাটে এসে ট্রাক চালক ও শ্রমিকরা ফেরি পারের অপেক্ষায় থেকে খাওয়া-দাওয়াসহ নানা ধরনের দুর্ভোগের শিকার হন।