লোকসভা নির্বাচনে আশানুরূপ ফল পায়নি বর্তমান ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। গেল নির্বাচনে অন্তত ১৩ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হেরে গেছেন।
লোকসভার ফল অনুযায়ী, ২৪০ আসনে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। ৯৯টি আসনে জয় পেয়েছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। অন্য দলগুলোর মধ্যে সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ৩৭টি, তৃণমূল কংগ্রেস ২৯টি, ডিএমকে ২২টি, তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) ১৬টি, জনতা দল (জেডি-ইউ) ১২টি, শিবসেনা (উদ্ভব) ৯টি, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপিএসপি) ৮টি ও শিবসেনা (এসএইচএস) ৭টি আসনে জয় পেয়েছে।
ফলাফলে বিজেপি এককভাবে সর্বোচ্চসংখ্যক আসন পেয়েছে। কিন্তু তারা একা সরকার গঠনের জন্য ২৭২ আসন পেতে ব্যর্থ হয়েছে। এই অবস্থায় বিজেপিকে সরকার গড়তে হলে নির্ভর করতে হবে প্রধানত দুই শরিক নীতীশ কুমারের জেডি-ইউ ও অন্ধ্র প্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডুর দল তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) ওপর।
নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের আমেথি আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী কিশোরী লাল শর্মার কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। কেন্দ্রীয় আদিবাসীবিষয়ক মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা ঝাড়খণ্ডের খুন্তি হেরেছেন কংগ্রেসের প্রার্থী কালীচরণ মুন্ডার কাছে। আর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি খেরি আসনে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী উৎকর্ষ ভার্মার কাছে হেরেছেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক কোচবিহার আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের জগদীশ চন্দ্র বসুনিয়ার কাছে হেরেছেন। আর কেন্দ্রীয় মৎস্য চাষ, পশুপালন ও ডেয়ারি প্রতিমন্ত্রী সঞ্জীব কুমার বালিয়ান মুজাফফরনগর আসনে সমাজবাদী পার্টির হরেন্দ্র সিং মালিকের কাছে হেরেছেন।
রাজস্থানের বারমেরে হেরেছেন কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষককল্যাণ–বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কৈলাস চৌধুরী। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর কাছে পরাজিত হয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। কেন্দ্রীয় মৎস্য, পশুপালন ও দুগ্ধ উৎপাদন প্রতিমন্ত্রী এল মুরুগান বড় ব্যবধানে হেরেছেন ডিএমকের প্রার্থী এ রাজার কাছে। আর বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর কেরালার তিরুঅনন্তপুরম আসনে কংগ্রেসের শশী থারুরের কাছে হেরেছেন।