চট্টগ্রামে চান্দগাঁও এলাকায় প্রায় দেড় ফুট হেলে পড়েছে একটি ৫ তলা বহুতল ভবন। ভবনটির নয়টি ফ্ল্যাটে বসবাস করছে নয়টি পরিবার। একইসাথে পাশের ভবনটির ভবনটির বাসিন্দারাও আছেন চরম আতঙ্কে।
চান্দগাঁও থানাধীন বাহির সিগন্যাল বড়ুয়া পাড়াস্থ বৌদ্ধ মন্দির সংলগ্ন নবরত্ন নামের ভবনটি হেলে পড়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন ভবনটির মালিকের একজন প্রদীপ বড়ুয়া। তিনি বাংলাদেশ বুলেটিনকে বলেন, “আমাদের ভবনটি গত মাস দুই মাস যাবৎ হেলে গেছে।” প্রদীপ বড়ুয়া জানান তিনিসহ নয় জন মিলে এই জমি ক্রয় করে ভবনটি নির্মাণ করেছেন। প্রায় ১৪ বছর আগে নির্মিত তাদের ভবনটির নয়টি ফ্ল্যাটে নয়জন মালিক বসবাস করছেন। ভবন মালিক দুই মাস যাবৎ হেলে পড়েছে বললেও ভবনের কেয়ারটেকার বলছেন তিনি বছর খানেক ধরেই এই ভবনটি হেলে আছে।
সরেজমিন নবরত্ন ভবনটিতে গেলে সেটির সামনের অংশের দেয়ালে অসংখ্য ফাটল দেখা যায়। যদিও ভবন মালিক প্রদীপ বড়ুয়ার দাবি, এই ফাটল গুলো ভবনের দেয়ালের পলেস্তারার ফাটল। দুই মাস যাবৎ ভবনটি হেলে পড়া বুঝার পর থেকে এখন পর্যন্ত কোন ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে ভবনটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে প্রদীপ বড়ুয়া বলেন, “না এখনো কাউকে দেখাইনি। তবে আগামী শুক্রবার আমিন এনে জায়গাটি মাপা হবে।”
জানা গেছে নবরত্ন ভবনটি প্রদীপ বড়ুয়া ছাড়াও ববিন বড়ুয়া, মিশন বড়ুয়া, বিকাশ বড়ুয়া, শিখা বড়ুয়া, সুমি বড়ুয়া, মঞ্জু বড়ুয়া, মিনু বড়ুয়া ও জিসু বড়ুয়ার মালিকানা রয়েছে।
হেলে পড়া নবরত্ন ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণভাবে পার্শ্ববর্তী প্রবাসী সুমন বড়ুয়ার বিল্ডিংয়ের উপর হেলে পড়ায় সেখানে বসবাসরত ভাড়াটিয়াদের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। বাড়ির মালিক স্বপরিবারে কাতারে বসবাস করায় ভাড়াটিয়ারা কিছুটা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জানান। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ভাড়াটিয়া বাংলাদেশ বুলেটিনকে বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠার মধ্যে আছি। নবরত্ন ভবনটি এখন আমাদের ভবনের সানশেডের সাথে লেগে আছে। যদি সেটি পুরোপুরি পড়ে যায় তাহলে নিশ্চিতভাবে আমাদের ভবনটিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফলে এখন আমাদের জানমালের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে কালুরঘাট ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মো: বাহার জানান, এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কারো কাছ থেকে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আমরা ভবনটি পরিদর্শনে যাবো। যদি ঝুঁকিপূর্ণ হয় তাহলে আইনানুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।