বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ১০ বৈশাখ ১৪৩২
বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫
দৃষ্টি কেড়েছে সোনাগাজীর কবির এগ্রো ফার্মের মহিষ
সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪, ৭:১১ PM
শেডের সাথে বাঁধা নানা জাতের সুন্দর-সুঠাম-দৃষ্টিনন্দন গবাদি পশু মহিষ। প্রতিবারের ন্যায় এবারো কোরবানি ঈদকে ঘিরে প্রস্তুত করা হচ্ছে। একদিকে চলছে পশু গোসলের ব্যস্ত কর্মযজ্ঞ অন্য দিকে চলছে খাবার যোগান। শ্রমিকদের ব্যস্ততা। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সৌখিন মানুষ কোরবানির পশু পছন্দের জন্য কবির এগ্রো ফার্ম ছুটছেন।

সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের আনোয়ারুল জাবেদ। তিনি ইষ্টার্ণ ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ শেষ করে ২০১৯ সালের প্রথম দিকে ছোট্ট পরিসরে নিজ বাড়িতে ব্যাক্তিগত উদ্যোগে ৫টি মহিষ পালন শুরু করেন। সেই থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তার খামারে ছোট বড় প্রায় ৫ শর অধিক মহিষ ও গরু রয়েছে। সব গুলো এ ঈদে বিক্রি হবে না। আগামী ঈদের জন্যও প্রস্তুত করা হচ্ছে। বর্তমানে ঈদে বিক্রির উপযোগী ৩৫টি মহিষ ও ৩০ টি প্রস্তুত রয়েছে। এদের নাম ও সৌন্দর্য নজর না আটকানোর সুযোগ নেই।

প্রতি বছরই ঈদুল আযহার পূর্বে নিজেদের খামারে পালন করা মহিষ ও গরু বিক্রি করে প্রায় ৩০ লাখ আয় করে থাকেন। বিগত কয়েক বছর ধরে নিজ খামারে পালন করা মহিষ বিক্রি করে এখন সফল ব্যবসায়ীদের একজন আনোয়ারুল জাবেদ। আসন্ন ঈদুল আজহা তথা কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ইন্ডিয়ান মুর্রা, জাফ্রাবাদী,হাসা ও দেশীয় জাতের মহিষ।

ন্যায্য দামে বিক্রি করে লাভবান হতে পশুগুলোর বেশি বেশি পরিচর্যা করে বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মহিষ গুলো  দেখাশোনার জন্য ১০ জন শ্রমিকও রেখেছেন। তারা পশুগুলো শেষ মুহূর্তে নানাভাবে পরিচর্যা করে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন।

এ ব্যাপারে খামারি আনোয়ারুল জাবেদ বলেন, প্রথমে অল্প পরিসরে মহিষ পালন শুরু করি। এলাকায় অনেক মানুষই কোরবানীর জন্য মহিষ পছন্দ করেন। দিন দিন ক্রেতার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় প্রতি বছরই মহিষের সংখ্যা বাড়িয়েছি। কেননা এটি ডায়বেটিস, হার্ট সহ সকল ধরণের রোগী মহিষের মাংস খেতে পারে। তাছাড়া এটি চরণ ভূমির বিধায় এটির পুষ্টি গুনও বেশি। তাই বর্তমান বাজারে গরুর  পাশাপাশি মহিষেরও ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। অবৈধ পথে ভারত থেকে গরু আমদানি না হলে আমি এবার লাভবান হবার ব্যাপারে আশাবাদী।

আনোয়ারুল জাবেদ আরো বলেন,  খামারটি শখ করে শুরু করে এখন বাণিজ্যিক আকারে চলছে। ঈদকে সামনে রেখে অনেকজন বেশি লাভের আশায় পশু পালন করে। আমি এ রকম না। ন্যায্য দামে যেন তাদের পছন্দের পশুটি নিতে পারে সেটি আমার লক্ষ্য। গবাদি পশু নিয়ে ভিন্ন একটা আনন্দের জগৎ আছে আমাদের। এবারো আমার খামারে দেড় লাখ থেকে শুরু করে সাড়ে ৪ লাখ টাকার মুল্যের বিক্রয় উপযোগী মহিষ রয়েছে। আমার খামারে ছোট থেকে বড় মহিষের ওজন ধারনা করা হচ্ছে তিন মণ থেকে সাড়ে ১০ মণ ওজনের হবে। ঈদে প্রয়োজনে ০১৮২৯৭৪৭৭৩২ নাম্বারে যোগাযোগ করার আহবান জানান তিনি।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাঃ নেবু লাল দত্ত বলেন, সোনাগাজীতে পবিত্র ঈদুল আযহা (কুরবান ঈদ) কুরবানির জন্য পর্যাপ্ত পশু মজুদ আছে। উপজেলা ঈদে মজুদ আছে প্রায় ১ হাজার ৯ শ। চাহিদা ও প্রায় এরকম।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত