এফরান ফকির। বয়স ১১০ বছর। বয়সের ভাড়ে ন্যুজ। সোজা হয়ে দাড়াতে পারেনা। শাসকষ্টসহ নানা রোগে ভুগছে। তারপরেও দুই ভাইয়ের ছেলের কাধের উপর ভর করে ভোট কেন্দ্রে এসে নিজের ভোট দিলেন।
জীবনে কোন ভোটই মিস করেনাই তাই শতকষ্টের মধ্যেও এবার আসলেন ভোট দিতে। জীবনে আর ভোট দিতে পারেন কিনা জানেননা। এই বয়সে ভোট দিতে পেরে নিজেকে ধন্য ও গর্বিত মনে করেন এরফান ফকির।
রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার আংগারিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তীব্রতাপদাহের মধ্যে ভোট প্রয়োগ করেন এরফান। তার বাবার নাম হোচেন আলী ফকির। মাতা ফরিদা বেগম। বাড়ী ওই এলাকার বাহেরচর ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্ধা এরফান ফকির নিজে এক সময় এই কেন্দ্রের স্কুল নির্মানে রাজমিস্ত্রির কাজ করেছেন। স্কুলের পাশের মসজিদ নির্মানেও তার অবদানের কথা বার বার বললেন। এরফান জানান, এই প্রতিষ্টান নির্মান করেছি সেই প্রতিষ্ঠানে ভোট দিতে এলাম।
কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার দিপংকর চন্দ্র শীল জানান, সকাল থেকে আমার কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি অনেক বেশি। তারপর আমি নিজেকে গর্বিত মনে করেছি যে, ওনার মত ( এরফান ফকির ) একজন বয়োজ্যষ্ট মুরুব্বীকে আমি নিজে বুথে নিয়ে তার ভোটটা প্রয়োগ করতে পেরেছি। যেহেতু তার হাত এবং পা কাপতেছে। তাই সে যেখানে সিল মারতে বলেছে আমি সেখানেই সিল মেরে ওনাকে দেখিয়েছি। ১১০ বছর বয়সি ওনার মত একজন ভোটার আমার কেন্দ্রে আমাদের সকলের সহযোগিতায় ভোট দিতে পেরেছে তাতে আমি ধন্য হয়েছি।
বাবু/সীমা