শুক্রবার ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ১২ বৈশাখ ১৪৩২
শুক্রবার ২৫ এপ্রিল ২০২৫
জঞ্জাল হটিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ
কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ
প্রকাশ: রবিবার, ৯ জুন, ২০২৪, ১২:৪৯ PM
আমি এই লেখায় দেশের কিছু বাস্তবতা এবং এগিয়ে চলা নিয়ে কথা বলতে চাই। রাজস্ব বছর ২০১১ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত বাংলাদেশের নন্দিত সব অর্জনের মধ্যে রয়েছে: জাতীয় উৎপাদে ধারাবাহিক উচ্চ প্রবৃদ্ধি; রাজস্ব বছর ২০১০-এর তুলনায় ২০১৯ সালে মাথাপিছু জাতীয় উৎপাদ বেড়ে তিন গুণ; খাদ্যে মোটামুটি স্বয়ংসম্পূর্ণতা; কৃষি, অবকাঠামো এবং কুটির ও মাইক্রো উদ্যোগসহ গ্রামীণ অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি; শিশুমৃত্যু এবং খর্বাকৃতি ও কম ওজনের শিশুর হার দ্রুত হ্রাস; নারীর ক্ষমতায়নে দক্ষিণ এশিয়ায় অগ্রগামিতা এবং করোনা মহামারি ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্য ও অর্থনীতি উভয় ক্ষেত্রে বিশেষ পারঙ্গমতা। 

আরো রয়েছে, ২০১৯-২০ সালে করোনা মহামারির কারণে প্রবৃদ্ধি অর্জনে পৃথিবীব্যাপী ধস নামে, তবে যে ১৮টি দেশ সে বছর ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি অর্জন করে, বাংলাদেশ সেগুলোর প্রথম দিকে ছিল।

২০২০ সালের মার্চ মাসে আবির্ভূত করোনা মহামারির বিরূপ প্রভাব থেকে মুক্ত হতে না হতেই ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ইউক্রেন যুদ্ধের অভিঘাত পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেমন, তেমনি বাংলাদেশেও আর্থসামাজিক নানা টানাপড়েন সৃষ্টি করে।


তবে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য হচ্ছে ২০৩০ মাস নাগাদ বিভিন্ন টেকসই লক্ষ্যের আওতায় অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাগুলোর বাস্তবায়ন, ২০৩১ সালে উচ্চ মাধ্যম আয়ের দেশ হওয়া এবং ২০৪১ সালে উন্নত স্মার্ট কল্যাণ রাষ্ট্রে উন্নীত হওয়া। ২০০৮ সালের আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে ঘোষণা করা হয় যে, দেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল উদার গণতান্ত্রিক কল্যাণ রাষ্ট্রে রূপান্তর করা হবে। এই লক্ষ্য নির্ধারণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে। নির্ণীত এই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে আমাদের সামনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কিছু চ্যালেঞ্জ অনেক দিন থেকে চলে আসা আর কিছু করোনা মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন কারণে সাম্প্রতিক সময়ে সৃষ্ট।

সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে : প্রায় ২০ মাস ধরে অব্যাহত উচ্চ মূল্যস্ফীতি, যা সাড়ে ৯ শতাংশের আশপাশে রয়েছে। ফলে দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষ জর্জরিত, এমনকি নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং ক্ষেত্র বিশেষে মধ্যবিত্তদের পারিবারিক অর্থনীতিতে চাপ পড়েছে।

বৈদেশিক মুদ্রার তহবিল ক্রমান্বয়ে উদ্বেগজনক পর্যায়ে নেমে যাচ্ছে। উত্তরণ কেমনভাবে হতে পারে তার সরলীকৃত উত্তর হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার অর্জন বাড়াতে হবে এবং খরচ কমাতে হবে। রপ্তানির ক্ষেত্রে বিদেশে বাংলাদেশের সব দূতাবাস থেকে কার্যকর অর্থনৈতিক কূটনীতি পরিচালনা করতে হবে। এটা নিশ্চিত করা জরুরি। কীভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্যের বিদ্যমান বাজারে রপ্তানি বাড়ানো যায় বা নিদেনপক্ষে ধরে রাখা যায় এবং সম্ভাব্য অন্যান্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্যের বাজার ধরা যায়, সেই চেষ্টা জোরদারভাবে করতে হবে। রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে সরকারের গৃহীত নীতি অনুযায়ীই দক্ষ জনবল যাতে বিদেশে সরকারিভাবে পাঠানো যায়, সেদিকে নজর দিতে হবে।

বেশ কিছু সময় ধরে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারে অস্থিরতা চলছে; সম্ভবত আইএমএফের চাপে সম্প্রতি হঠাৎ বাস্তবায়িত টাকার উল্লেখযোগ্য অবমূল্যায়ন মূল্যস্ফীতিতে আরো ইন্ধন সৃষ্টি করছে এবং রপ্তানি পণ্যে আমদানিকৃত উপকরণের খরচ বৃদ্ধির কারণ হয়ে রপ্তানির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম আরো বেড়ে যাওয়ায় হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রেরণ কমছে না। তবে বৈধ রেমিট্যান্স বাড়ছে, যা অবশ্যই একটি সুখবর।

টালমাটাল বিশ্ব অর্থনীতি এবং দেশে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সময় সময় দোদুল্যমানতা বা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত না নেওয়ার কারণে এই চ্যালেঞ্জগুলোর সমাধানে এ পর্যন্ত তেমন অগ্রগতি হয়নি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অবনতি লক্ষণীয়। যথাসময়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে পদক্ষেপ গ্রহণে পূর্বাপর বিবেচনা না করে হঠাৎ সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক নয়। বৈদেশিক মুদ্রাবাজারের স্থিতিশীলতার বিষয়  ছাড়াও মূল্যস্ফীতি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে এর কী প্রভাব পড়বে তা বিবেচনায় নিতে হবে। একচোখা নীতিগ্রহণ ছাড়াও ঘনঘন নীতি পরিবর্তন অস্থিতিশীলতাকে উসকে দিচ্ছে।

আরো একটি কথা হচ্ছে, দুষ্টচক্রগুলোর কারণে অনেক সময় সঠিক পদক্ষেপও কার্যকর ভূমিকা রাখছে নাÑ যেমন ব্যাংক ঋণের সুদহার বৃদ্ধি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখছে না। দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে এদের দাপট বিরাজমান। এই দুষ্টচক্রগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনা খুবই জরুরি। এছাড়া অনেক দিন থেকে চলে আসা কয়েকটি সমস্যা স্মরণে আনতে চাই।

ব্যাংকিংখাতে সুশাসনের সংকট, অতি মাত্রার খেলাপি ঋণ এবং সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকসহ অনেক ব্যাংকের টালমাটাল অবস্থা। এখানেও দুষ্টচক্রগুলোর দমনে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আর অবশ্যই স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও তদারকি নিশ্চিত করতে হবে। প্রতি বছর ব্যাপক সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং প্রধানমন্ত্রীর গৃহহীনদের জন্য গৃহায়ন কর্মসূচির ফলে বেশ কিছু প্রান্তিক মানুষ খানিকটা ভালো আছেন। কিন্তু তা আয়-বৈষম্য বৃদ্ধি রুখতে পারছে না।

কর-জাতীয় উৎপাদ অনুপাত পৃথিবীর সবচেয়ে কম যেসব দেশে, বাংলাদেশ সেসব দেশের অন্যতম। বাংলাদেশে তা ৮ শতাংশের কম এবং এর মধ্যে আয়করসহ প্রত্যক্ষ কর এক-তৃতীয়াংশের মতো। প্রত্যক্ষ কর বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এযাবৎ অগ্রগতি হয়েছে সামান্যই। অপরদিকে দেশে ধনীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ফলে সরকারের সামর্থ্য থাকছে সীমিত। এভাবে চলতে থাকলে সরকারের ঋণের বোঝা বাড়তে থাকবে।

দুর্নীতির ক্ষেত্রে সরকারের নীতি শূন্য-সহনশীলতা, কিন্তু দেশে দুর্নীতি বহুল বিস্তৃত, যোগসাজশে সম্পন্ন এবং গভীরতায় বিশদ। এ জঞ্জাল না হঠাতে পারলে কাক্সিক্ষত পথে দেশের এগিয়ে চলা কঠিন হবে। সম্প্রতি দু-এক জন রাঘববোয়ালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কারণে শুরু করা পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই। আশা করি, তা চূড়ান্ত পর্যায়ে যাবে; অতীতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে যেমন ঘটেছে সেরকম এবারের অভিযান পথ মাঝে থেমে যাবে না।

দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত রপ্তানি বহুমুখীকরণে অগ্রগতি তেমন নেই। এখনো তৈরি পোশাক ও নিটওয়্যার থেকে বার্ষিক রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশের ওপর আসে। সম্ভাব্য অন্যান্য রপ্তানি পণ্যের ক্ষেত্রে অন্যান্য পদক্ষেপের সঙ্গে উপযুক্ততা বিবেচনায় পণ্য উৎপাদনে আমদানিকৃত উপকরণে শুল্ক প্রত্যাহার বা কমিয়ে আনলে সংশ্লিষ্ট পণ্যগুলোর রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বেকারত্ব রয়েছে। সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ আছে এদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে, স্ব-কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বা মজুরি-বেতনের বিনিময়ে। সমস্যাটি ব্যাপক। এ বিষয়ে আরো কার্যকর নজর দিতে হবে।

বিভিন্ন খাতে বিভিন্ন পর্যায়ে দক্ষ জনবলের ঘাটতি রয়েছে দেশে। তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন ব্যবসায়-বাণিজ্য এবং সেবা খাতে মাঝারি দক্ষতার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদেশি বর্তমানে বাংলাদেশে কর্মরত। তারা বছরে ৬ বিলিয়নের মতো মার্কিন ডলার তাদের দেশে পাঠান। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় ও শিল্পের মধ্যে সহযোগিতা প্রয়োজন, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়োগকারীদের চাহিদা জানতে পারে এবং সেই অনুযায়ী দক্ষ জনবল তৈরি করতে পারে। এসব চ্যালেঞ্জ আওয়ামী লীগের ২০১৮ এবং ২০২৩ নির্বাচনি ইশতেহারে চিহ্নিত আছে।

অনেক দিন থেকে চলে আসা এসব চ্যালেঞ্জ নীতিনির্ধারকদের কাছে বোধকরি গা-সওয়া হয়ে গেছে, কাজেই এগুলোর দিকে তেমন নজর দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে এই চ্যালেঞ্জগুলো অতিক্রম করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্য অব্যাহতভাবে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে এই চ্যালেঞ্জগুলো সমাধানের নির্দেশনা দেন। তার পরও এখন পর্যন্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে সামান্যই। যারা এসব ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত, তাদেরই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা। প্রধানমন্ত্রী একা কতদূর করবেন? তবে যারা এমন গাফিলতি করেন তাদের জবাবদিহির মুখোমুখি করা জরুরি।

আরো একটি চ্যালেঞ্জ হলো জলবায়ু পরিবর্তন, যেটা ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। এই তো দিন কয়েক আগে ঘূর্ণিঝড় রেমাল (২৭ মে ২০২৪) আবারও জানান দিয়ে গেল জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মারাত্মক রূপ নিতে পারে আমাগী দিনে। এই সমস্যার জন্য বাংলাদেশ মোটেই দায়ী নয়। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বর্তমানে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে সামান্যই। তারা অনেক সময় অঙ্গীকার করেও রক্ষা করে না।

এবার সরকারের বার্ষিক বাজেট বাস্তবায়ন সম্বন্ধে কিছু কথা। বিগত কয়েক বছরের বাস্তবায়ন পরিস্থিতি থেকে দেখা যায়, প্রথম তিন মাসে উন্নয়ন বাজেটের ৫-৬ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়, ছয় মাসে হয় ১৪-১৫ শতাংশ এবং ৯ মাসে হয় ২৬-২৭ শতাংশের মতো। বছরের শেষ দিকে সংশোধিত বাজেটে মোট বরাদ্দের আকার কিছু কমানো হয় এবং শেষের এক-দেড় মাসে অনেক খরচ করা হয় এবং তাতে দেখা যায়, বছর শেষে সংশোধিত বাজেটের ৮৫ বা ততধিক শতাংশ বাস্তবায়িত হয়ে যায়। 

অবশ্যই তাড়াহুড়া করে এত কাজ এক-দেড় মাসে সম্পন্ন করলে কাজের মান ভালো হওয়ার কথা নয়। এছাড়া নয়-ছয় করার সুযোগ অনেক বেড়ে যায়। বছরের শুরু থেকে কার্যকর এবং ধারাবাহিক বাজেট বাস্তবায়নের কথা অনেক দিন ধরে বলা হলেও এ পর্যন্ত কোনোই অগ্রগতি হয়নি। আবার বাজেট বাস্তবায়নে তো বটেই, সরকারি সার্বিক ব্যবস্থাপনায়ই সমন্বয়ের প্রকট ঘাটতি বিদ্যমান রয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের এই অভাবের কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নসহ সরকারের বিভিন্ন কাজে অনেক সময় ব্যাপক ঘাটতি থাকে। সময় বেশি লাগে, খরচ বাড়ে এবং তার পরও অর্জন অনেক সময় কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ের হয় না।

সবশেষে বলতে চাই, নিরাশ হওয়ার প্রয়োজন নাই। উন্নয়নে সংকটহীনভাবে ঊর্ধ্বমুখী গতিধারা সব সময় থাকে না। দুনিয়ার কোনো দেশেই সব সময় থাকেনি। এর কারণ হতে পারে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অর্থনৈতিক বিপর্যয় বা যুদ্ধবিগ্রহ, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক অস্থিতিশলতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা মহামারি বা এগুলোর একাধিক একসঙ্গে। তবে মূল্যবোধহীন দুষ্টচক্রগুলো বাংলাদেশের এগিয়ে চলার পথে এক কঠিন পারিপার্শ্বিকতা সৃষ্টি করেছে এবং করে চলেছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য সাবলীল রাজনৈতিক-বিচারিক-প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিশ্বাস করতে চাই, বর্তমানে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক পরিমণ্ডলে যেসব চ্যালেঞ্জ মুখ্য ভূমিকা রাখেছে সেগুলো অতিক্রম করে মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী বাঙালি জাতি এগিয়ে যাবে। গড়ে তুলবে উন্নত, স্মার্ট ও কল্যাণধর্মী বাংলাদেশ। গড়ে তুলবে সোনার বাংলা।

লেখক : সভাপতি, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাজচিন্তক ও অর্থনীতিবিদ

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত