টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী গরুর হাট শেষ পর্যন্ত জমে উঠেছে। হাটে প্রচুর গরু থাকলেও তুলনামূলক ভাবে ব্যাপারী কিছুটা কম।
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে তেমন একটা আকর্ষন খুজে পাওয়া যায়না। উপজেলার গোবিন্দাসী পশুর হাট একসময়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম হাট ছিল। হাটে প্রচুর পরিমাণে পশু উঠলেও দাম নিয়ে কিছুটা হতাশায় রয়েছেন ব্যাপারীরা।
রবিবার (০৯ জুন) উপজেলার গোবিন্দাসী পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, হাটের পুরো অংশ কোরবানির পশুতে ভরে গেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট বড় গবাদি পশু নিয়ে এসেছেন ব্যাপারীরা।
এদিকে হাট কর্তৃপক্ষ বলছে বেচাকেনাও ধীরে ধীরে বাড়ছে। ঈদ যতো এগিয়ে আসবে, বেচাকেনা ততো বাড়ছে। তবে ঈদের আগের দুই হাট পুরোপুরি জমে উঠবে বলে আশা করছি।
পশু বিক্রেতা ফারুক হোসেন বলেন, হাটের ভিতর প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন প্রজাতির দেশি-বিদেশি গরু রয়েছে। বিক্রেতা কম থাকায় বেচাকেনা মোটামুটি হচ্ছে। তবে সামনে সময় আছে ইনশাআল্লাহ হাট পুরোপুরি জমে উঠবে।
হাটে গরু কিনতে আসা কয়েকজন ক্রেতা জানান, ঈদের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। এবার দেশে খামারিদের নিকট পর্যাপ্ত পরিমানে গরু রয়েছে তাই কোরবানীর পশুর সংকট হবেনা। তবে এই হাটে পর্যাপ্ত পরিমাণে গরু থাকায় দাম কিছুটা কম বলে মনে হচ্ছে।
হাট কমিটির কোষাধ্যক্ষ ডাঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম লোটন বলেন- বাংলাদেশের বৃহত্তম ১০ টি পশুর হাটের মধ্যে গোবিন্দাসী পশুর হাট একটি। এই হাটে পর্যাপ্ত পরিমাণে দেশি বিদেশি গরু রয়েছে এবং বেচাকেনা হচ্ছে। এই হাটের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য পুলিশ প্রশাসন ও ভলান্টিয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা সব সময় দৃষ্টি রাখছেন যেন, কোন ব্যাপারী মলমপার্টি, ছিনতাইকারী ও হাটের ভেতর দালালদের ক্ষপ্পরে না পরে। ব্যাপারীরা যাতে নির্বিঘ্নে পশু বেচাকেনা করতে পারে তার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গোবিন্দাসী হাটের ইজারাদার মোঃ লিটন মন্ডল বলেন, আমাদের এই হাটে স্থানীয় খামারিসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্যাপারীরা কোরবানির পশু বিক্রির জন্য নিয়ে আসছেন। হাটে পর্যাপ্ত ক্রেতা-বিক্রেতা রয়েছে। বেচাকেনা ধীরে ধীরে বাড়ছে। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, বেচাকেনাও তত বাড়ছে। ঈদের আগের দুই হাট পুরোপুরি জমে উঠবে আশা করি। হাটে আসা পাইকারদের জন্য পুলিশ প্রশাসন ও ভলান্টিয়ার মাধ্যমে শতভাগ নিরাপত্তার নিশ্চয়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমান বলেন, সরকারি বিধি মোতাবেক হাট ইজারা দেয়া হয়েছে এবং তাদের তত্ত্বাবধানেই হাট পরিচালিত হচ্ছে। হাটের পাইকারদের নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা করা গ্রহণ করা হয়েছে।